হয়তো আজই তোকে নিয়ে ভাববো আমি এই মনে,
কারণ আজই তো হলো হৃদয়ে হৃদয় ঘর্ষণে
দ্বৈত সুরের এক বীণা|
কী নিদারুন বিশ্বাসে তাকাস আমার দিকে,
যেন কতো কালের আবেদন ওই চোখে!
নিঃশব্দে কোমল স্বর তুলে যা বলেছিস ওই চোখে,
আমি পারবো না ফেরাতে
ও চোখের ভাষার প্রণয় নিবেদন|
প্রিয় ডাকনামে যখন ডাকিস,
ওই গোলাপী উষ্ণ ঠোঁটের কম্পনে,
তখন ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দিতে সুখের বৃন্দাবনে|
ও চুলের মগ্ন মাতাল ঘ্রানে,
হাত পিছলে ছুটে আসে তোর কপালে!
আচমকা খেয়ালের বশে আমিও হারাই,
চেনা বন্দরের নোঙর ফেলে|
আজ থেকে থাকবি তুই,
আমার বইয়ের পাতার দৈর্ঘ্য জুড়ে,
খুব গোপনে হৃদয় নূপুরে|
কবিতার সাদা খাতায়,
অদৃশ্য রঙধনুর বর্ণে তোর নামের ছন্দ
জেগে উঠবে প্রতি চরণে|
রাস্তায় একা হাঁটতে হাঁটতে,
উপচে পড়া বাসের ভীড় দেখে,
তীব্র ব্যস্ততার নিঃশ্বাসের মাঝে,
অথবা সন্ধ্যার তুমুল আড্ডার ফাঁকেও,
আমি তোকে নিয়ে ভাববো সময়ে অসময়ে!
শুনতে ইচ্ছে করবে,
তোর শাসন বারণের ঝংকার ধ্বনি!
আজ থেকে মেনে নেবো যতো আদুরে শাসন,
না শুনলে বারণ তুই বকবি জানি,
তবুও হয়তো হঠাৎ কখনো
শুনবো না বকা খাওয়ার লোভে পড়ে!
যতো খুশি বকবি আমায়
কিচ্ছুটি বলবো না জানিস!
শুধু বলি অভিমানী হয়ে থাকবিনা,
যত্ন করে লুকিয়ে কাঁদবি না,
দিলাম সখী প্রথম তোমায়
আমার প্রেমের দিব্যি!
জেনে রাখিস আজ থেকে আমিও
ভাববো তোকে নিয়ে,
তোকে নিয়ে একলা হতে চাই আমি
জোড়া পাখি হয়ে!