সারা বাজার চষে পাইনি খুঁজে আমি আজ আর,
তোমার জন্য শেষ উপহার!
মুক্তোর পাখায় জড়ানো সস্তা হীরের আংটিও লাগছিলো ফিকে,
হয়তো এটাও মানাবে না তোমাকে|
ভেবেছি অনেক মৌনতার শাখা প্রশাখায়,
বাদলের রোদ্র হাতে সোনার কাঠি এনে দিলে,
শ্রাবণের গয়না খুলে রুপোলী চোখ ছোঁয়ালে,
নতুন বধূর লজ্জার মতন সিদুঁরে রাঙালে,
হবে কি তোমায় নিয়ে শেষ বিদায়ের কীর্তি রচনা!
একটি বুকের সন্ধ্যায় কুড়ি মাসের ধ্রুবতারার রাগিণী,
অনুচ্চারিত হবে জানি বিদ্ধস্ত সৈনিকের মতন,
একটি টিয়ার খসে পড়া মূহুর্তের পাখা উড়বে না কোনদিন,
হেঁয়ালী আঙুলে আলপিনের খোঁচায় জমবে ঘুমের নির্বাসন,
জানি তবু দিতে হবে শেষ প্রহরের বিদায় উপহার!
সমুদ্র শিশিরে স্নান করা দ্বীপের দুপুরে
মেঠো রাখালের কাঁচা যৌবনে বাঁধা বাঁশির তরঙ্গ আনি,
শিরশিরে আদুরে কণ্ঠের নৌকায় তীব্র আকাঙ্খার ধ্বনি,
নতুন কলমী ফুলে সুরভিত বালিশের নিচে চিঠিখানি,
এসবই ছিলো খুব গোপনে,তবু না দেয়াই থাকবে এসব|
তবু আজ দেব আমি হৃদয়ের ফ্রেমে আঁকা,
নীল অরণ্যের বর্ষায় আমার মুখখানির ছবি,
দীর্ঘ চুলের মাদকতায় ভিনদেশী চোখের রেখা,
ঠোঁটের কামড়ে আহত স্মৃতি নিয়ে দেখবে জোছনা রবি|
অনুশোচনার মিছিলে উঠবে জানি কান্নার সাত পাঁচ নির্বিকার,
শুকনো বরফী চিবুকে উষ্ণতার খোঁজে অঙ্গে জড়াবে শেষ উপহার|
উৎসর্গঃপ্রিয় বন্ধু রুবেল রনি কে|