মনে পড়ে না তোকে আর ভুল গলিতে হাঁটতে হাঁটতে,
ঘুঘু অথবা চড়ুইর ডাক শুনে ইচ্ছে করে না তোকে দেখতে|
সেই সব সকাল যখন তুই দাড়িয়ে থাকতি দরজার ওপাশে,
অপেক্ষার উত্তর দক্ষিন মেরু পেরিয়ে,তালা খুলতাম শেষে|
ঘুম কাতুরে চোখে একটাই প্রশ্ন থাকতো 'কেমন আছো'?
কিঞ্চিত ললাট কাঁপিয়ে,ভালো থাকার জবাবটাই দিয়েছো|

বর্তমানের গল্পে ঘোলাটে আয়নার মতো সেইসব আর ভাসে না চোখে,
পাহাড়ের চূড়ায় বসে বিকেলের অবসরে নিয়ম করে ভাবি না তোকে|
তোর থেকে মুক্তি পেয়ে বিষ্মিত আমি অপ্রাপ্তির সুখে আছি,
বারশত দিন আগের সময় মুছে দিয়ে,স্বচ্ছ ক্যানভাসে রঙহীন ছবি আঁকছি|

খুব লুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখা তোর জামার আঁচলখানি পুড়িয়ে ফেলে,
ছাই গুলো মাটি চাপা দিয়েছি,
ডায়েরীর কোণে যত্নে রাখা চিরুনী থেকে চুরি করা চুল তুলে,
আস্তকুড়ে ফেলে এসেছি|
তোর সাথে তোলা ছবি গুলো ডুবিয়ে দিয়েছি পানিতে,
একেকটি মূহুর্তের জীবন্ত লাশ আকারহীন হয়েছে বালিতে|

আমার অস্তিত্বের কোথাও নেই তোর করাঘাত ,
অবসাদে মুচড়ে উঠা বিক্ষিপ্ত কথার তেতো স্বাদ|
তোর আমি নেই আর একই ফুলে ঘ্রাণের মতন,
ভুলে গিয়ে তোকে,জেগেছি নতুন ভোরের মতন|
তবু আমি দুঃখে নেই ভালো আছি,যেমনটা কেউ থাকবে না কোনদিন,
তরী বিহীন মাঝিও স্বপ্ন ঘাটে ভিড়বে না প্রতিদিন|