স্বপ্নলোকের ডাকপিয়নের হাতে পেলাম তোমার চিঠি,
চামেলী রাতের জোছনা মেশানো তোমার শরীরী মাটি|
খুলে দেখি একরাশ রক্তাক্ত ফাল্গুনী ফুলের জমাট নিঃশ্বাসের ছোঁয়া,
হৃদয়ের কলমে উদ্দীপ্ত ভাষায় সঞ্চিত চাওয়া পাওয়া|
ভ্রমরের কোলে কুমারী বসন্ত ঘুমায়,
গাছের ফাঁকে ডাকে যুগান্তরের পক্ষী,
চোখের তৃষ্ণা ফেলে কি দিলে কলমী পাতায়?
নিদ্রিত আদরের আকুলতায় নাও না মন লক্ষী!
বর্ষারাতে ফাগুনের চাঁদ জ্বেলে হারাই দুকূল,
রেশমী চুলে বিলি কেটে এসো করি দেহ কাব্যের ভুল|
এমনতর হাজার ভুলে হারাব বলে,
বসন্তকে বলেছি কৃপা করে,
ছেড়ে দিও মোদের স্বচ্ছ ঢেউয়ের নাগালে,
দূরত্ব পাড়ি দিয়ে তুমি তো এলে না মোর দুয়ারে|
ব্যস্ততার অবসরে পাঠালে মন মাধুরীর ব্যাঞ্জনা,
অভিযোগের ডালা ভারি করে তবু দেব না আর যন্ত্রণা|
সযত্নে রাখলাম তুলে তোমার বাসন্তী পত্রখানি,
ভালবাসার নিমন্ত্রণে শব্দ কুড়িয়ে দিলাম উত্তরখানি|
তুমি এসো এবার পল্লবী কাননের রাণী হয়ে,
আগমনী শতাব্দীর যৌবনে রাখবো তোমায় ডুবিয়ে|
আর নয় পত্রাবলী,চাই এবার সোজা সাক্ষাৎ
সেই আশাতেই নিলাম বিদায় আবার দেখবো অরুণ প্রভাত|||