আমি দেখেছি তোমায় সন্ধ্যার অহর্নিশ চয়নিকা প্রহসনে,
স্বপ্নালু হাতে বাঁধা তরী,জল গড়ায় নেত্রকোণে|
প্রদীপ্ত শিখার নক্ষত্র এনে নীলকান্ত বাশরী সাজিলে,
পোড়া চন্দ্রের বিদ্রুপ হাসি নিশীথ যৌবনে ফুটাইলে|
শ্বেত চন্দনের মহুয়া বাতায়নে অনুকম্পার আগমন,
সিক্ত দোলনচাঁপায় দিলে যেন রক্তিম ভোরের চুম্বন|
স্পন্দিত মাধবী মোর হেঁটেছি তোমার প্রসারিত হৃদয়তলে,
সোহাগী লক্ষী মালার বিকশিত নিখাদ ঝর্ণার বক্ষতলে,
মোহ অমৃতে পুলকিত অধর কেঁপেছিল বিষ্মিত শতদলে|
আমি দেখেছি তোমায় রক্ত জবার বিমোহিত বাহুডোরে,
অলিখিত গদ্যের লুকায়িত শরতের পদ্ম ক্রোড়ে|
লজ্জাবতী গোধূলীর কুসুম চরণ নীল জ্যোতিতে রাঙালে,
সেদো মাটির শয্যা পেতে আত্ম ভ্রমণে মাতিলে|
পত্র মাধবী মোর জেনেছি তোমাতে চঞ্চল তটিনী,
রহস্যময়তায় সঞ্চিত শ্যাম শোভায় অনাবৃত ধরণী|