তোমার বয়স কুড়িও হয়নি তখন,
কলেজ পাড়ার ভাঙ্গা বাড়িটায় থাকতাম যখন!
তোমার আলসেমী চোখ দুটো ছিলো বড্ড বেখেয়ালী,
তিনটে বাড়ীর বিরতিতে,আমার জানলার কপাট খোলা থাকত তোমার জন্য কেবলি|
কখন পদ্ম মেঘের ভোরে চিরুনি হাতে তুমি দাড়াবে,
সজাগ থাকতে হতো কখন তোমার পাষাণ নয়ন দুটো আমার নয়নে আটকাবে|
বইয়ের বোঝা কাঁধে নিয়ে ছুটতে কলেজ বাসে সিটের খোঁজে,
তিনশ শব্দের আবেদন পত্রটি রোজ ভেবেও হয়না দেয়া বুক পকেটেই ভিজে|
পাড়ার মোড়ের মুদির দোকানে আসতে তুমি সাত দিনে একবার,
যেন স্বর্গ থেকে চুরি করা সেই একটা দিন আর কিছুই নেই দরকার|
চায়ের দোকানে গলির মোড়ে তোমার পায়ের আওয়াজ গুনি,
কোন পথেরই আসর ভেঙ্গে গড়বে বাসর তাই যেন কান পেতে শুনি|
কোন এক অদীর্ঘ বেলার ইতি টেনে,ইতিহাস বন্দী করে তুমি হঠাৎ গেলে চলে,
একলা পাখির অনাথ হৃদয়ের বিরহীর সুতা লম্বা করে দিলে|

আজও দেখা হলো তোমার সাথে,ফাঁকে উড়ে গেলো একটা যুগ,
সেই উদাস মাটির বিশাল বৃক্ষে  আজও একই নক্ষত্রের দাগ|
কিছু হয়তো বলার ছিলো,নষ্ট অসুখের গল্প,
পারলাম কই আর তার আগেই হারালে,সময় দিলে না অল্প||