আমি আমার প্রিয়তমাকে আসতে বলেছিলাম
এক বসন্ত কালে।
আমার কাছে আসলো এক ফুল বিহীন বসন্ত।

অথচ সবাই নাকি বলে
ফুল ফুটুক বা না ফুটুক
ফালগুনী হাওয়ায় নাকি বসন্ত।
এসব কি আর ঠিক বলেন?
একজনের প্রেমিকের কাছে
কাঙ্ক্ষিত সময়ে স্বর্গ লোকে নির্যাসিত
সেই মানুষটাই যদি না আসে
তাহলে ফালগুনের হাওয়া হয় কি করে বসন্ত?

আচ্ছা, ধরেই নিলাম
তাহার নানান সমস্যা।
ধরেই নিলাম সে তাহার পরিবারের
স্নায়ুবিক এক দামাল চালক।
তাই বলে কি তাহার একটুও
মানসিক শান্তির প্রয়োজন হয় না?

গেলো পৌষের বেলায় তাকে লিখেছিলা।
সামনে ফাগুন আর ভালোবাসার ফেব্রুয়ারী
সময় পেলে এই নাছোড়বান্দা মানুষটার কাছে
একবার আসবে।
সে সম্মতিসূচক মাথা এলিয়ে বলেও ছিলো আসবে।

কই তাহার আর সময় হলো না।
একের পর এক সমস্যা নামক অযুহাত
তাহার পিছু লেগেই আছে।
আজ টিটিসি পরিক্ষা, কাল কম্পিউটার ক্লাস,
পরশু ল্যাব, তরশুও আর আসতে পারলো না।
তরশু তাহার শুরু হলো
এক উদ্যম ফিজিক্সের মরণ কাল।

অবশ্য সেই মরণ কালের যাত্রী আমিও ছিলাম।
তাই বলে তাকে একটুও ভুলে থাকিনি।
বরং আরও মায়া বেড়েছে।
আমি পারিনা থাকতে তাকে ভুলে।

গেলো পরিক্ষার শেষে তাকে আবারও লিখেছি
মেজর পরিক্ষা তো শেষি হয়ে গেলো
একবার আসা যায় না?
উত্তরে কি বললো জানেন!
রোজ পরিক্ষায় তো দেখোই
তাও আবার আসতে হবে হবে।

আমার আর কিছু বলার নেই এইবার।
রোজ পরিক্ষায় তো দেখি
বিষন্নতায় ভরা মলিন মাখা
শীর্ণকায় দেহ একটা মেয়ে।
মুখে আবার মহামারীর দূর করার জন্য
বিশ্রী একটা মাক্স ও লাগিয়ে থাকে।

কত বার যে তাকে বলেছি
এইসব মাক্স বাদ, ফেলে দিও।
তাহার ফেলে দেওয়ারও সময়টা নাই।
মহা ব্যাস্ত মানুষ।

আমি অবশ্য তার চেয়েও শীর্ণকায়
তবুও আমার মুখটা মলিন হয়না।
একটিবার তাহাকে দেখতে পেলে
আমার প্রফুল্লতা আরও বেড়ে উঠে।

যা-ই হোক দেখা তোমার নাই বা পেলাম
কোন আক্ষেপ নেই তাতে।
ভালোবাসা টা বাধ্য করিনা
আমার ভালোবাসা আজীবন থাকবে তোমাতে।