কাইল রাইতে মহল্লার আন্ধা গল্লির দেয়ালে ঠেক দেয়া ঢেউটিনের বানে শরিল ঠ্যাকাইয়া যহন কইছিলি,
‘ঐ কাল্লু, দিল কয় মদন সাহার মাইয়ার শাদীর গেটের লাহান তারার বাত্তি ঝুলাইতে আউলা ঝাউলা চুলে,
লগে টিপ পিন্দুম চকের জানি দোস্ত পারুলের লাহান-
আসমান থিকা তারা আইন্যা দিবা,মেরি জান?’
আন্ধারে তোর শরিলের ছুপা গরমে অক্করে মাক্ষনের লাহান গইল্যা যাওন ধরছিলাম!
ঐ হালার আসমানের তারা? কৈ বাত নেহি,
তুই চাইছোস আর আমি দিমু না!
আমিও হালায় চান্দু সর্দারের পোলা!
হালা মিনসাপিলটির বেগানা বাত্তির লাহান
খিচ খাইয়া রইছে আইজ রাইতের চান্দ,
বিল্লা খাওনের আগেই ছুম্মা আমিন কইয়া
পঙ্খিরাজের লাহান দিছি লৌড় তারাগো মোকামে!
কইছিলাম না, আন্ধারে ছাপ্পা কইরা হালামু আসমানের তারা উরা!
আবে দ্যাখ হালার পুরা এক পেটি রাইতের তারা
তেরি লিয়ে, মেরি জানম।
মাগার অহন এতো কাবযাব লাগাইছোছ ক্যালা,
হাপিশ কইরা দিমু কইলাম এক্কেরে তোরে চান্নি রাইতে।
কি কইলি? তোর বাপে সুরিতলার রইস আদমী?
আরে থো! খবর কইরা হালামু-কোন হালার নব্বাবের হুমুন্দি তর বাপে।
আমি ভি নারিন্দার সর্দারের পোলা কাল্লু মিয়া,
হালার এক বাপের এক পোলা-জবান ভি এউগা।
তুই মদন সাহার ইস্কুরুপ-ঢিলা লাল কুত্তাডার লাহান ফাল পাড়তাছোছ ক্যান,
আৎকা তোর অইছে কি!
থোরাসা সিজিল হইয়া খাড়াতো-এক্কেরে হিলবিনা
বুরিগংগার পিনিসের নাচন থামা।
আব্বে হালা তোর গালের জমিনে আর কামিজে রং মারছে ক্যাঠা!
কি কইলি?
শাঁখারী বাজারের ইয়ার দোস্তগো লগে রং খেলছোছ! ভাঙের লাস্সি পিয়া তু? পিকচার ভি দেখছোছ!
উফফ...দিলি না চান্দিখান গরম কইরা...!
আ্যালা ক’, কোন্ হালা তোর শরিলে টাচ্ দিসে-
মাঙ্গরের পোলার হাতখান ভাইঙ্গা জামে মসজিদের গিরিলে টাঙাইয়া না দিছি তো এই হালার নাম কাল্লু না!
যাউগ্গা, ইধার উধার যা করছোছ আমি দেহি নাইক্কা,
হোলি-অলির খেইল ভি খতম।
মাগার ক্যায়সা এক মাইনকাচিপায় ফালাইলি;
বুঝ কইরা উঠবার পারতাছিনা...
অহন কি সুনসান ফজরের টাইমে গল্লির মসজিদে হান্দাইয়া
তারার পেটি বালিশ বানাইয়া ঘুমামু;
নাকি হালার মুসল্লিগো লগে চিল্লায় যামু!
হালার দিল কয়-দিমুনি কানের তলে কইস্যা দুইডা আওরা।