এক অমাবস্যায় আলোহীন হো’ক আমার শহর;
সেই কুচ অন্ধকারে নিঃস্ব হো’ক
গলিজ নাগরিক বোধ ও ক্ষয়িত বিবেক;
উঠুক চাদমারির নিরেট দেয়াল ।
চশমার কাঁচে পলি পড়া উদভ্রান্ত চোখ
ভূতগ্রস্থ কবিতার সমাপ্তি খুঁজে খুঁজে
এ শহর আরও একা হবে গাঢ় তমিস্রায় ,
রাজপথে শূণ্যতার ‘পর দাঁড়ানো
আকাশের গায়ে ছায়া ছায়া ঘোর কাঠামো -
ছাঁচে ঢালা আরেকটি সভ্যতার বিলুপ্তি ক্রিয়াধীন;
যেন মার্বেলের কাঠামোতো প্রাচীন ‘স্টোনহেঞ্জ’!
বহুদূরে আকাশের ছাতে
বর্তুলাকার ধূসর ‘টাম্বল উইড’য়ের মতো মেঘ ধীরে গড়ায় পূবে সকালের খোঁজ;
এলোমেলো হাওয়া আফিমের নেশা কাটেনি তখনো
বুড়ো নীহারিকা দক্ষিণে ঝিমায়।
নিশি পাওয়া গলির ছায়া যুবকের দল,
রক্তের কোষে বান ডাকে কুচলা রাত।
দেহপসারিনীর বিষাক্ত বিবশ দেহ
প্রতিটি ভাঁজে রাত নামায় প্রার্থনার হাত।
সিঁধেল চোরের মতো কিসের খোঁজ,
কারে খোঁজে ঐ দৃষ্টিহীন অন্ধকাল;
জীর্ণ দুমড়ানো রাত্রির বুক পকেটে
পরিপাটি ঘুমায় ক্লান্ত মহাকাল।।