একদিন যবে এক সমুদ্রে গেছিলাম
মনে আছে
সৈকতে বেশুমার গাঙচিল
ওড়ে,ডোবে, ভাসে
ওদের নরম ক্ষিন্ন বুকগুলো খইরঙা ছিলো,
জাফরান চঞ্চুতে
কীয়েক অনুক্ত অনুপ্রাস
কারে যেন ডেকে ডেকে উড়ছিলো—ডুবছিলো—ভাসছিলো ।
আমাকেও ডাকছিলো ওরা নীলজল স্নানে
তাদের কটা ডানার ছায়া ধরে ভালেবেসে জলে নেমেছিলাম…
দিন শেষে খেলা শেষে
ঢেউয়ের কিরীট ছুঁয়ে ছুঁয়ে
একটি…
দুইটা…
তারপর একে একে বেশ ক’টা ধূসর গাঙচিল
নীল জলে জলরং এঁকে
ঐ পাশে উড়ে যায় সুবর্ণরেখা বরাবর।
আমি ফিরে আসি লোকালয়ে…
তারপর একদিন, বহুদিন গেছে পর সেই সমুদ্র পারে আসি
সেই চেনা পাখিদের খোঁজে।
তব্দা খেয়ে দেখি—
নির্জন সৈকত জুড়ে বেশ কটা লাল মৃত গাঙচিল
এলোমেলো পড়ে আছে বালিকাঁকড়ার পাতে;
আর, আরক্ত মেঘ নিয়ে জলে নুয়ে আছে অই বিষণ্ণ আকাশ!
দিন পড়ে এলে
কাঁকড়ারা গর্তে ফিরে গেলে
হয়তো চাঁদের উজান খইবুকে রক্তের রঙ ধুয়ে দিয়ে
টেনে নেবে লোনাক্ত জলে!
আমার চারপাশে আকাশ
আকাশে সেঁটে আছে ঝাঁক ঝাঁক দূরগামী ভীত গাঙচিল—যেন নিরাপদ দিগন্তমুখী।
পাখিদের সব অনুক্ত অভিযোগ নিয়ে আমি ফিরে আসি লোকালয়ে, একা!
~~~~~~