এখনো শহরে রোদেরা ঘামে
মনে আছে তোর-
এক মাঘের দুপুরে তোর হাত চেপে ধরেছিলাম তোদেরই বাড়ীর গেটের পাশে?
শহরের সমস্ত বিষণ্ন রোদ চমকে উঠে থমকে গিয়েছিলো;
তারপর ঘোর কেটে গেলে পুরোটা শহর হৈহৈ করে উঠলো ঢিল খাওয়া কাকের মতো।
আমার কান তখন শব্দ বধির;
আমার বোধে তুই ছাড়া কেউ নেই,
আর ছিলো শামুকের মতো গুটানো তোর মুঠোখানা আমার হাতের মুঠোয় ;
তোর চোখ দু’টো কোন এক অবশ্যম্ভাবী শংকায় আধবোঁজা হয়ে ছিলো।
তারও ক’সেকেন্ড পরে মনে হলো
থেমে গেছে সব কোলাহল ;
তোর মুঠোয় ঘাম-আমার মুঠো ভেজা;
ক্লাসের রোল কলের মতো,
একে একে ঘেমে গেলো তোর নাক, ঠোঁট আর চিবুকের মোড়-
ভিজে গেলো তোর কপালের কিশোরী সীমন্ত-ক’গাছি চুল হড়কে গিয়ে আঁটকে ছিলো , বৃত্তের জ্যা যেন।
সেদিন মাঘের দুপুর হ’লেও বেশ রোদ ছিলো-মনে আছে?
আচ্ছা বলতো, তুই কি ঐ বোকা দুপুরটার মতো শুধুই ঘামছিলি?
নাকি বুকের ভিতরেও ছিলো ঘাঁই দিয়ে উঠা শহরের সব কোলাহল-
বলিসনিতো কোনদিন , মনে পড়ে?
জানিস, ইদানীং আবার ইচ্ছে হচ্ছে তোর হাত ধরে দু’জনেই ঘেমে যাই;
আচ্ছা বলতে পারিস এখনো কি এ শহরের রোদ ভিজে যাবে তোর হাতের মুঠোয় ।।