এক দুর্মুখ বলেছিলো_
এই যে ভালোবাসা বলে বলে
মুখে ফেনা তুলে ফেলা, এর কোন মানে আছে!
নিক্তিতে কি ভালবাসা মাপা যায়, নাকি এর কোন আয়তন আছে,
জ্যামিতিক কোন কাঠামো আছে, বা বর্গের ঘনফুট?
ছোঁয়া যায়না, দেখা যায় না, বাতাসের মতো অনুভূতও হয়না...;
তাহ’লে কেন এটা নিয়ে এত্তো মাতামাতি !
সেই দুর্মুখ আরো বলেছিলো_
কোন সহি কারণ নেই
উষায় এবং মধ্যাহ্নে, এমনকি রাত্রির শেষ যামে,
ঘুমে বা জাগরনে,
পরিযায়ী কারো কথা ভেবে ভেবে দিনরাত এক করার,
কোন যুক্তি নেই হৃদয়ে জ্যাম বাঁধাবার;
খামোখাই অযাচিত ডিপ্রেশানকে আপ্যায়িত করা ;
ফলাফল_
এক খাবলায় ঘুমের বড়ির কৌটা খালি;
চিলেকোঠার পুরনো নড়বড়ে কড়ি বরগা কিংবা
ফ্যানের কাঠামো নিয়ে টানাটানি।
চলে সস্তা চোলাইয়ে চুমুকে চুমুকে ছ্যাঁকা গীত:
মেরা কুছ সামান তুমহারে পাস পড়া হ্যায়...!
হায় ভালোবাসা, তোমাকে ভালোবেসে মরিয়া হয়ে এ কেমন ‘মরিয়া যাওয়া’!
ইদানীং সংক্রমিত হাসপাতালগুলোর দরজায় নোটিশ ঝোলানো- সংরক্ষিত চিকিৎসা ব্যবস্থা।
তাই এসব কাজে বিশেষ লক্ষ্য রাখাটা ঋদ্ধ রিপুর লক্ষন,
শিক্ষানবিশের মতো আধা খেচড়া কিছু হলেই আজরাইলের শিডিউলে পরিবর্তন ঘটে।
ঐ দূ্র্মুখ বিদায় কালে জ্ঞানী বৃদ্ধের মতো বলেছিলো-
ফুরাবার আগেই ফুরিয়ে যাওয়া হতে মুক্তি চাই।
প্লেটোনিক ভালবাসা? দূররর্...
ওতো কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই;
এসব বাদ দিয়ে শুধু প্রেম করো,
দেখো নাই চন্দ্রমুখির চোলি আর ঘুঙুরের প্রেমে তাম্বুর-মুখ-লাল মহান চুনিলাল দোলে?
অথচ, কোথায় পার্বতী আর কোথায় দেবদাস
কোথায় অশরীরি ভালবাসার হাল।
অতএব, মহান প্রেমিককুল-
মায়ান রাজা কুহুল আযা এবং ক্লিওপেট্রাকে ডেকে তোল, শোরগোল শুনে সিজারও হাজির হতে পারে;
মিসরীয়-মায়ান-রোমান, তিন রাজসিক প্রেমিকের যৌথ উদ্যোগে
পতিত প্রেমের জমি ফের আবাদী করো
তৈরী হোক প্রেমের বসতি আবার ;
ভালোবাসা সুপ্ত থাকুক গুপ্ত অন্ধকারে ।।
০৬/০১/২০২১