একদিন সময় করে এসে দেখে যেও
কেমন আছি।
হাল্কা হয়ে আসা বেয়াড়া চুল
কলপ ছেড়েছি বেশ কিছুকাল হলো
শেভও করি না ইদানীং নিয়মিত—আলসেমি।
অবসর কি আলসেমি বাড়ায়, নাকি সময়কে হ্রস্ব করে? কী জানি !
দেখে যেও
অযত্নে বেড়ে ওঠা গোঁফ দাড়ি-শুভ্র, সফেদ
বদলে যাওয়া মুখ ।
দেখে যেও
অপরাহ্ণ আলোয় মেদুর স্মৃতিরা কীভাবে দোল খায়,
উজান ঠেকানো বালুচরের মতো
শরীরে জেগেছে কতো বলিরেখার ভাঁজ।
বলে রাখি,
আমার মতো করে আমি এখন বেশ আছি।
সেই চুন সুড়কির হলুদ দোতলা বাড়ি
ঠাণ্ডা চুপচাপ সিঁড়িঘর
চিলেকোঠা ঘিরে থাকা রোদ কড়কড়ে ছাত—
সব আছে ।
শুধু পুকুরটি খোয়া গেছে, যেটাকে তুমি ‘সমুদ্র’ বলতে
সাথে গেছে রাধাচূড়া, সোনালু আর পাখির দল
গেছে কবিতার মতো পশ্চিমের জানালায় ঝুলে থাকা আকাশ—
সমুদ্রে গেঁথে আছে বহুতল সুরম্য দালান
বিশাল জাহাজের মাস্তুল যেন!
আমি সব মানিয়ে নিয়ে বেশ আছি!
তবুও ডেকে নিলাম,
দেখে যেও সময় করে একদিন।
চশমাজোড়া ভুলে যেও না যেন
ওতে তোমায় মানায় ভারী!
তোমাকেও দেখিনি বহুদিন ।
২২/০৫/২০২২