ছুঁমন্তর

এই কংক্রীট জঙ্গলে এ কেমন ঘোর লাগে-
নিয়নের আলোয় মুড়ে দিন শেষে রাত ভাগে,
চাঁদিনি ভেবে সে আলোতে বৃথাই কেন খুঁজি
দালানের দিগন্ত ঘেঁষে চাঁদ উঠলো বুঝি!
ধূলোমাখা হাওয়া উড়ে কানাগলি ঘুঁপচিতে
দখিনা ভেবে মিছে,ফিরে আসি সম্বিতে ।
রাজপথে যান সারি সারি;নরনারী ঝাঁক ঝাঁক
চেঁচামেচি হুড়োহুড়ি,যেন মৌয়াল ভেঙ্গেছে চাক।

এ শহরে চাঁদ নেই, নেই জলসোঁদা হাওয়া
নেই তারাদের প্রেম, ঝিঁঝিঁদের গান গাওয়া
নদী নেই বন নেই ,নেই পালতোলা নৌকা
শুধু থাক থাক ইট সিমেন্টের ইমারত চৌকা
মানুষের মন নেই, এরা জীব নয় যেন যন্তর
মুখে মেকি হাসি ধরে তারা ঢেকে রাখে অন্তর।

অনামিকা, চলো যাই, এ কলুষিত শহরে আর নয়
নদীর ঘাটেই হো’ক যদি আমাদের ভালোবাসা হয়;
পূর্ণিমা জোয়ারে দেখনি কিভাবে জলঢেউ উছলায়
রূপালি জলছাতে কি দারুণ ঢমকে চন্দ্রিমা পিছলায়;
দিকচক্রবাল জুড়ে বাতাসের নিত্য যাওয়া ও আসা
অটবির সীমান্তে শুকতারা আর পল্লবীর ভালবাসা,
তারো ‘পরে আলোছায়া ঘেরা লুকোচুরি মেঘগুলো
উত্তুরে হাওয়া পিঠে নিয়ে দেখনি কি ভাবে চাঁদটা ছুঁলো।