আকাশ মিশেছে সাগরে।
ঢেউয়ের উপর আছঁড়ে পড়ছে ঢেউ-
শরীরের উপর শরীর।
আমি পুরুষ-তুমি নারী।
তোমার খালি পা-বালির আর্তনাদ।
বাতাসের শো শো শব্দ-
মাঝরাতে ভেসে আসা শীৎকার।
তুমি নারী-আমি পুরুষ।
তোমার খালি পা-যুবকের হাহাকার।
তীব্র খরায় শুকিয়ে যাওয়া মাঠ-
আহা!একফোঁটা পানি।
বেচারী,তোমায় দেখায় নির্লিপ্ত -
মধ্যরাতে আমার চোখে গ্লানি।
পাহাড়ে কি রক্তজবা ফোঁটে-
রক্তের রং তো লাল।
নিছক তোমার দেখার ইচ্ছে বলেই-
আকাশের লাল মাটিতে গিয়ে মিশে।
তুমি ছুঁতে চাও ঐ দূর আকাশ-
আমি স্পর্শ করি মাটি।
আকাশ মানে তো শূন্য নাকি অসীম-
ধূলো আমি সারা অঙ্গে মাখি।
বাঁকা চাঁদের কোণা মেঘের তলে ঢাকে-
ঠোঁটের কোণে আলতো কাঁমড়।
ওষ্ঠে তোমার ইষৎ হাসির ছোঁয়া-
পতঙ্গদের আলোর দিকে ছোটা।
আমি পুরুষ-তুমি নারী
তুমি-আমি জয় পরাজয়ে মত্ত-
বিদগ্ধ এই রজনীর বুকে দগদগে ক্ষত।