অপূর্ব বিনাশ তোমার পাথরের মূর্তি
তোমার দিকে চেয়ে সুন্দরের সর্বনাশ চেয়ে নিলাম
ঠায় দাঁড়িয়ে তুমি কার কথা বলো।
আমি দেখেছি তা’কে
যে আমার পাশে ছিল কতকাল
একগাল হেসে সে একদিন আমার সর্বনাশ ডেকেছিল।
পুতুল ভেবে করেছিলাম ভুল
রক্তমাংসে রাজহংসী বোধ দেদীপ্যমান হলে
ছিঁড়ে ফালা ফালা করে দিয়েছিলো ।
অন্ধকারে রাত্রির রসায়ন খুলে
প্রতি চুমুকে শেষ হওয়া সোনালী ঝংকার
কবিতার মতো শরীর বিছিয়ে করেছিলো আলিঙ্গন।
অপার মুগ্ধতায় সেই শরীরকে মূর্তি ভেবে
হাপরের মতো হাঁপিয়ে উঠেছি
পুতুলের মুখটা তখন মনে ছিলোনা।
সে পুতুল ছিলোনা বটে
ছিলোনা তাম্র-মূর্তি, সলাজ পানকৌড়ি
শুধু সুন্দরের অক্ষত ক্ষত নিয়ে অহংকারী হয়েছিলো।
বিমূর্ত মূর্তির কাছে ধরা খেয়ে গেলাম
আজ কোন জিজ্ঞাসা না রেখে।