সীমান্ত নীল খাটিয়ায় শুয়ে আরাধনা করে অনন্তের
যেখানে ঈশ্বর থাকেন
বুক বড় হলে পাহাড় সমান, প্রাচীর ও হেলে যায়
তারাদের তাপ আর রাশিরাশি মেঘমালাকে নিয়ে ।


খুপড়িতে তখন সুখ আমাদের ঈশ্বর ধ্যানে দেখেন
বৈরুত শহরকে পাখির চোখের মতো মনে হয়
একটু আগে এখানে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে ।
ছিটকে পড়ছে জল ঘরময়,
ঈশ্বর আনন্দ অশ্রু বুঝিয়ে দেন জল্লাদের কারখানায়।


দূষণে বাতাস ভারী হলে আকাশ কাঁপে
ডাইনোসরের যোগে ছিলো না এমন কৃত্রিম শহর
সীমান্ত ছিলো, পাহাড়ের বুকে ছিলো মজুত খাদ্য গোদাম
মানুষে মানুষে- মানুষ বাড়তে বাড়তে, বুক ছোট হয়ে গেছে
মানুষ তৈরী করেছে বিকৃত গ্রীবা আর নিজস্ব প্রাচীর।
ডাইনোসরের যুগে তা ছিলোনা
সীমান্ত যেমনই থাক,
ঈশ্বর দোষ আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে মুচকি হাসেন।


শুয়ে শুয়ে জলধি দিগন্তের বিস্তার দেখে
মানুষের মতো তার কখনো ঈশ্বরের কথা মনে পড়েনা
ভারী বুকটা পানির নিচে চুবিয়ে দিয়ে
ভালোবাসার কাতুকুতুতে মেতে উঠলে
প্রাগহৈতিহাসিক যুগের হাসি মনে পড়ে।
ঈশ্বর জানেন এমন হাসিতে মারা যেতো অনেকেই।


প্রসারিত দীর্ঘ ছায়ার সাথে দুলতে দুলতে
পাহাড় সমান বুক,
ডাকু মানুষ আর ডাইনোসরের কথা মনে হলো
আমরা খেয়েছি ছায়াসঙ্গিনী নিসর্গ মুদ্রাকে
বুকের উত্তাপ কমে গেলে ছোট হয়ে গেছে সুখ।


আধুনিকায়নের তৈলচিত্রে ঝাড়ু দিতে দিতে
ঈশ্বর নিজেই গেছেন দূরে
আমরা শুধু নিজস্ব সামিয়ানায় সীমান্তকে বন্দী করেছি
মানুষের ইতিহাস শুদ্ধতায় বাঁচবে বলে।