বাবাজীঃ
বাপে তোমার আছে কেমন?
শরীরটা ভালো তো?
মোদের কথা কি আছে মনে?
মুরুব্বিদের অনেক মানতো।
বাবাজীঃ
কত কষ্ট করছে বাপু,
তোমার যেন ভালো হয়,
মোরা কত আফসোস করি,
সে তো কভু ভোলার নয়।
বাবাজীঃ
শীতে পরেনি গরম কাপড়,
পেঁচিয়ে থাকত ছেঁড়া চাদর।
লোকে পাছে ঠাট্টা করে,
এড়িয়ে চলতো লজ্জা ডরে।
বাবাজীঃ
পুরনো লুঙ্গি, ছেঁড়া জুতা,
কোঁকড়া চুলে উল্টো সিধা,
গেঞ্জির মাঝে চৌদ্দ ফুটা,
তবুও মুখে হাসির ছটা।
বাবাজীঃ
বাপটা তোমার বেজায় ভালো,
বোঝে না সে আধার কালো।
পরের তরে দিল দরিয়া,
আপনি বাঁচে হাফ ছাড়িয়া।
বাবাজীঃ
বাবার প্রতি রাখিও খেয়াল,
সম্পর্কে কভু দিওনা দেয়াল।
আগলে রেখো সযতনে,
বিনিময় পাবে আপন সন্তানে।
বিস্ময়ে আমিঃ
চোখের কোনে বিন্দু জল,
মনের কোনে সমুদ্র অতল।
মুসাফির নাকি পথিক জন?
জানা নাই, তবুও কত আপন।
কতই না অভাগা সন্তান মোরা,
আপন আলয়ে পিতৃহাড়া।
কষ্টের পাহাড় চেপেছে বুকে,
সন্তানেরা যেন থাকে সুখে।
পিতাপুত্র সম্পর্ক মধুর,
চিরকাল অনিন্দ্য সুন্দর।
বাজি ধরে শপথ করি,
শ্রদ্ধাভরে তাদের মাল্য বরি।