ক্ষমা চাহে যে নারী তারি দোষে,
ক্ষমা কি পাবে এ পুরুষ সমাজে ।
রাখিবে কি তারে হৃদয়ে পুনঃরায়ে ।
যৌবনের প্রাক্কালে ভুলেছিল ক্ষণিকের কামোনাতে।
নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিল কনো এক প্রেমিককে,
তারি কথা বলিতে না পেরে ক্ষমা চাহে নতুন স্বামীর ঘরে ।
বিবাহের চারি বৎসর পরেও যে সম্পর্ক ছিল মোবাইলতে,
তারি সূএ ধরে স্বামীর প্রশ্নবাণে তারে জ্বরজরিত করে ।
অশ্রুসজল নয়নদুটি ভাসায় শ্বশুর-শ্বশুরির পদতল ।
মাগো, ভুল করেছিলাম ক্ষমা করো মোরে ।
হায় ! যে ক্ষমা করিবে তারি মনে প্রবল ঝড় বহিতেছে ,
তিরষ্কার না তাচ্ছিল, দয়া না মায়া ,মনেতে ঘৃণা আজি বীষসম ।
ক্ষমা, মোটেই নয় বিদায় করিব আজি এহেনো নিয়েছি পণ ।
অপরূপা আজ বরো অসহায় নেই যে
কনো সহায়-সম্বল তার বাপের ঘরে ।
বুঝতে পারবেনা এইবুঝে পুরনো প্রেমিকের
সাথে কথা কওয়া আজি বর্জ্যসম হয়ে আসে ।
স্ত্রীর অশ্রু যান শ্রাবণের ধারা বহিয়া যায়,
এ-দৃশ্য দেখিতে না পেরে স্বামী বাস করে অন্যএ ।
ভাবিবতে থাকে এ-কেমনে হল এ জীবনে ।
ক্ষমা, আমি করিবনা তাহলে কি রাখিব তারে
অহল্লারূপে মোর স্বাদের বাগানে ।
ভাবিতে থাকে, ভাবিতে ভাবিতে মনকে পাথরের চেয়ে শক্ত করে,
সিদ্ধান্ত নায় বিদায় আমায় দিতেই হবে এ ভ্রষ্টা রমনীকে ।
সম্পর্ক চ্ছিন্ন হয় হস্তাক্ষরে, ফিরে যায়
সে বাপের ঘরে নিদারুন বেদনাতে।
বাসরে দেওয়া গোলাপ খানি চ্ছিন্ন হয়ে নিভৃতে কাঁদে ।
রেখে যায় অঙ্গরী স্বামীর পদতলে সঙ্গে দুই ফোঁটা অশ্রুজল,
যেনো বলে যায় কাগজের পাতায় নয়,পাথরে নয়
হৃদয়ে লিখে রাখব তব নাম চিরন্তন করে ।
আজও পরুষ শাষিত সমাজে নারীর ভুলের কনো ক্ষমা নেই ।