নীলাম্বর অম্বরে অনলো দহনে ভুবন আজি ক্লান্ত-হারা ।
তোমার সাথে রব আমি ক্লান্তভরা দিবস বেলায় ।
শুষ্কধূল উড়ুক যত ধূ-ধূ ঐ প্রান্তরে, ঘুঘু ডাকুক
উদাস হয়ে ডাকের সাথে সুর তুলে ।
জীবন যদি নাইবা আসে মেঘের খেলা ঘরে,
বৈশাখী, তাবলে কি রবো না আমি তোমার হৃদয়পুরে ।
বৈশাখী এসো তুমি নীলাঞ্চচল ধূলোয় উড়িয়ে -
শুষ্কধূসর মেঠো প্রান্তর পথের বাঁকে ।
আমি রব তৃষ্ঞা হারা হয়ে,
রবে এ দু-চোখ তোমার চোখে,
রবে এ হাত দুখানি তোমার হাতের প’রে,
হারাবে কথা আলোর ফেরার পথে ।
তারপরে দেখবো তোমায় বাউল বেশে
একতারাটি হাতে লয়ে, পল্লীগ্রামের পথে পথে ।
ধরবো গান উদার কণ্ঠে, পল্লীগীতি, ভাটিয়ালির সুরে ।
এ বেশও হারাবে, দেখবো তোমায় বধূর বেশে,
এলো চুলের সিঁথীর পথে সিন্দুর হবে রাঙা হয়ে ।
পীতবর্ণের বর্ণশোভায় শোভীত হবে প্রকৃতি বেশ ।
দেখবো তোমায় রনাঙ্গীনি রূপে, অশ্বপীঠে,
খর শব্দ উঠবে বেজে অশ্বখূরের সাথে ।
আকাশ- বাতাশ ধ্বনিত হবে তোমার অশির হুঙ্কারে ।
পৃথ্বীভরা কলঙ্কযত মুছবে তোমার ঐ রাঙা চরণ র্স্পশে ।