তুমি সবই বোঝ !
অ্যাংলো- স্যাক্সন থেকে পোস্ট-মর্ডান অবধি;
কিংবা বাংলা সাহিত্যের চর্যাপদ,শ্রীকৃষ্ণকীর্তন সবই;
শরৎ,বঙ্কিম,মানিক বাবু, রবীঠাকুর সব !
ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি পড়ে আবিষ্কার করেছো-
হিমু-মিসির আলীর মত চরিত্র;বড় রহস্যজনক চরিত্র !
ভাঁড়ুদত্ত,কুবের-কপিলা,মালা,অমিত-লাবণ্য,কেতকী।

তুমি সবই বোঝ !
কীভাবে লিরিকাল বালাড রোমান্টিকতা নিয়ে এলো?
কীভাবে ইফ প্লাস ডট ডট কন্ডিশনাল সৃষ্টি করলো?
কীভাবে পিন-পয়েন্ট এরর্ চরম তৃপ্তি দিলো?
সাবজাঙ্কটিভ,কারেকশন,ফ্রেইজ,ক্লঝ সব;সব কিছু !
কীভাবে ইট্ দ্বারা রিপ্লেচ্ করতে হয়?

তুমি সবই বোঝ !
পুঁজিবাদ,সমাজতন্ত্রের নির্যাস যে এক; তাও বোঝ...
ন্যাটো,ওয়ারশ,কমেকন,সল্ট-ওয়ান-টু,পি-ফাইভ প্লাস ওয়ান সব!
বিশ্ব রাজনীতির নতুন সমীকরণ সেটাও বোঝ তুমি;
মদিনা-সনদ,আজকের দুনিয়ার লিখিত -অলিখিত সংবিধান;
এক নিঃশ্বাসে বলতে পার তুমি;
পার রেফারেন্স টানতে  অসংখ্য আইনের নজীর;
কোথায় কার্বোলিক স্মোকবল,মারবারী,করফ্যু-চ্যানেল কেইস,
ইটালিয়ান মার্বেল কোম্পানি আবার কোথায় স্টেট ভারসাস দসো!

তুমি সবই বোঝ !
রিপোর্ট-সমীক্ষায় কোন দেশ কততম গরগর করে বলতে পারো তুমি;
পদ্মাসেতুর স্প্যান-পিলার,মেট্রোরেলের কটা স্টেশন,
কোথা থেকে শুরু কোথায় শেষ...
প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ সবই বোঝ তুমি !
মূল্যবোধ-সুশাসনের কে কটা সংজ্ঞা দিয়েছে তাও জানো তুমি;
ভাষাগত যৌক্তিক বিচার এতটায় প্রখর যে বহুপদী উৎপাদক,
স্থানাঙ্ক জ্যামিতি কিংবা পিথাগোরাসের উপপাদ্য,
তোমার কাছে কিছুই না;ঠিক যেন মডুলাসের মতন !
তুমি সবই বোঝ;অ্যানোড-ক্যাথোড সব;সব কিছু।

তুমি সবই বোঝ !
জারণ-বিজারণে গ্রহণ-বর্জনের ধর্ম রাসায়নিক বিক্রিয়া;
কীভাবে নিউক্লিয়াসের বাহিরে ইলেক্ট্রন ঘুরে বেড়ায় ?
ওহম’স,কারশফ’স ল’ তোমার কাছে ব্যপারই না;
ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল সায়েন্স কবেই শেষ করেছো !
ডেবিট-ক্রেডিটও বোঝ তুমি,কীভাবে জাবেদা করতে হয়;
অথচ কী আশ্চর্য দেখ-ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস;
আমাকে বোঝ না;শুধু আমাকে !