নির্জন দুপুর, বর্ষামাখা সকাল;
পুঁজিবাদী মন, সমাজতান্ত্রিক চেতনা!
তবু উত্তপ্ত আলিঙ্গন নগ্নচেতনার আড়ালে,
কামনার এ কোন অগ্নিবৃষ্টি!
চরম হতাশা কিংবা সংকটেও নারীর দেহ পেতে চায়;
কবিতার নরম শরীর!
ঠিক যেন কাঁশফুলের মতন!
কাব্যসৃষ্টি বুঝি হয়েই গেল-
তুমি কারো নও; আমার...
অন্তত এক রাত্রির জন্য!

তুমি হয়তো দেখ নি-উড়ন্ত চিলের ক্ষুধার্ত নিশানা;
মাছরাঙার মতন এক ঝটকায় কাছে টানা;
দেখ নি-বিষন্ণ  দু-একটা ঝিঁঝিঁপোকা আর সর্বনাশা সমুদ্র!
কবির মন যে কতটা শক্তিশালী;মারাত্মক অস্ত্র হৃদয়খানি!
সেই নিতম্বের ঢেউ, হরিণীর মতন চোখ, নাক,তলপেট-
ঘুমভাঙ্গা স্তন কিংবা পাতলা ঠোঁটের কিনারা,
কিছুই বাদ পড়ে না সেখানে!
কাব্যসৃষ্টি বুঝি হয়েই গেল-
তুমি কারো নও; আমার...
অন্তত এক রাত্রির জন্য!

তুমি হয়তো দেখ নি-নির্মলেন্দু গুণের প্রেমের কবিতার চিত্রকল্প,
স্পর্শকাতর কবি, রক্তের ফ্রেমে বন্দি,
মেঘের মশারি বিছিয়ে দুটি শরীরের  প্রশমন বিক্রিয়া;
আর দ্রোপদীর বস্ত্রহরণ!
ঠিক যেন আজকের দুনিয়ার জাতিসংঘের মতন!
কতবার ছুঁয়ে দেখতে গিয়ে গুটিয়ে নিয়েছি হাত,
দেখ নি-দিগন্ত বিস্তৃত ধু-ধু শূন্য মাঠখানি,
অকৃত্রিম প্রেমের উষ্ণ ছোঁয়া, চূর্ণ-বিচূর্ণ অস্তিত্ব আর মহাশূন্য!
ঠিক যেন শিমুলের তুলার মতন ভেসে বেড়ায়;
বাতাসের প্রবল ঝাপটায়!    
কাব্যসৃষ্টি বুঝি হয়েই গেল-
তুমি কারো নও; আমার...
অন্তত এক রাত্রির জন্য!

বিশ্বাস করো-আমি দেখিছি সেই আগ্রাসী দুটি চোখ,সুডৌল বক্ষ;
পাহাড়ি নদী,অশান্ত স্রোত,নৈতিকতার দ্ব›দ্ব,প্যারালাল স্ট্রাক্চার,
আর  দুটি মনের দ্বিঘাত সমীকরণ!
খসে পড়ে অজস্র কবিতা; নিঃশব্দ নগ্নতায়...
বিশ্বাস করো- আমি এখন আর অপ্রস্তুত আনাড়ী শিল্পী নই!
কাঁধে সংসারের ব্যাগ; বিবি-বাচ্চা,
আট-দশটা রক্ষিতা; আরো কত কী...
তুমি কোথায়? জানলে বলো-সহজেই পাড়ি দেবো আটলান্টিক-প্রশান্ত!
স্বেচ্ছায় যাবো নির্বাসনে; সেন্টহেলেনা কিংবা রোবেন দ্বীপে...
কবির শক্তি যে অনেক বড়; অনেক!
তুমি কারো নও; আমার...
অন্তত এক রাত্রির জন্য!

তুমি হয়তো জানো না-আমি এখনও পড়ে থাকি ইনবক্সে,
ভার্চুয়াল অবিশ্রান্ত দুনিয়ােেত, একটা উত্তর পাবার নেশায়!
বিশাল বাক্যে; চরম আশ্লেষে, উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত...
যেখানে অ্যান্টার্কটিকা গিয়ে মিশেছে;
কারণ ভেতরে অশান্ত স্রোত, শরীরে বিপুল ক্ষুধা,আর অবারিত তৃষ্ণা!
এইতো সেই উত্তর.নরম হাত,নগ্ন শরীর!
হুম...
কী?
কিছু না...অ কিছু না!
দারুণ বললে তুমি; সত্যিই নিদারুণ!
সব রং ঝরে পড়ে,সব রস খসে পড়ে;
অথচ কবি এ সবের কিছুই দেখে না;
কবির শক্তি যে অনেক বড়!
তুমি কারো নও; আমার...
অন্তত এক রাত্রির জন্য!
!