ইদানিং নেশাটা একটু বেড়ে গেছে!
পেটের দায়ে নয়, মনের ক্ষুধায়;
পৃথিবীর সব ধরণের নেশা ভালো, কম-বেশি; এই আর কী!
কতবার বলবো-শরীরে বিপুল ক্ষুধা!
তসলিমা নাসরিনের আগ্রাসী কলমের অদম্য তেজের মতন!
একবিংশ শতাব্দীর রক্তচক্ষু, নেশার ঘোর;
বোঝার বিষয় নয়, ঠিক যেন হুমায়ূন আজাদের রহস্যের মতই!
বাতাসের সুনসান শব্দ, মৌলবাদী চিন্তা-চেতনা...
ওৎ পেতে আছে শকুনের দল;
এই বুঝি ঝাঁররা করে ফেলবে-ঘাতকের নির্মম বুলেট!
বুকের পাঁজর; অবিদিত তরুণ কবির বুকের পাঁজর।
তবু নেশার ঘোর কাটে না, কবিতার নেশা!
নেশা বলতে ঐ একটায়!
অনেক রকমই নেশা আছে; কত বিচিত্র নাম তার!
এই ধরো-, সিগারেটের নেশা, গাড়ী-বাড়ি,নারীর নেশা,
মদের নেশা, সাংঘাতিক গাঁজার নেশা,
আর আজকের দুনিয়ার টনক নড়া বাবার নেশা!
সবার সাথেই আমার ওঠা-বসা আছে;কম-বেশি;
ঠিক যেন সদ্য যুবতীর বুকে ওড়না জড়ানোর মতই!
যা বলছিলাম -কবিতার নেশা।
নেশা বলতেই ঐ একটায়!
গাঁজাতে যেদিন দমকা টান দিয়েছিলাম;
কিছুই পাই নি সেখানে, তেমনটা বলার দুঃশাহস আমি রাখি না।
তবে ছোট করে বললে, পেয়েছি মাত্র একটা ঝংকার!
ঠিক যেন নারী-পুরুষের আদিম খেলার মতন!
অথচ কবিতাকে ছুঁয়ে দেখতে গিয়ে,
কেঁপে উঠলো হাত, মন, বক্ষ, সারা শরীর, রক্তে লাগলো টান!
মনে হলো রহস্যঘেরা বহুঝংকারময়!
ঠিক যেন নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতই!
নেশা; তবু নেশার ঘোর কাটে না, কবিতার নেশা!
নেশা বলতে ঐ একটায়!