ঝরাপাতা,ঘরভেদী বিভীষণ!
ঝড়োকাকের মতন ডানা মেলে-
থাকি মোহাম্মদপুর, ঢাকায়।
অবশ্য পান্থপথ ছেড়েছি মাস দুয়েক আগে;
ফার্মগেইটের ওভার ব্রিজ আর চোখে ভাসে না!
তবে কেনো, কেনো?
কলা দেখানো ইতিহাস,
এক কে একুশ করা আমি ভুলে যাই নি,
আর ছেলেবেলার মাঠে বুড়িছোঁয়ার কথা,
মামদোবাজি করি না আমি,
মাত্র হরিষে বিষাদ!
জানি চোদ্দবুড়ি;উপোসি ছারপোকা আমি,
তবুও ফুসফুস পচাতে বসেছি সিগারেটের ধোঁয়ায়,
তবে কেনো, কেনো?
মনে পড়ে গ্রামের মাথার উপরের আকাশ;
কেনো জানি ঢাকার আকাশটা সংবর্ত নয়,
অহনে ভ্রমর; যৌবনের অনল,
ছুটে চলে অজানা পাহাড়ে,
দুরন্ত ঘোড়ার মতন টগবগিয়ে...
তৃপ্তির ঢেকুর তোলা প্রায় অসম্ভব,
কারণ সময় আজ বড় করুণ!
তাইতো এখানে; সেখানে দেখি সুবোধ তুই পালিয়ে যা...
তোর ভাগ্যে কিছু নেই!
নিমরাজি নয়, জানি সাতকাহন,
এও জানি ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির নই আমি;
মাত্র ভয়ানক সন্ন্যাসী!
তবে কেনো, কেনো?
বড্ড অসময়ে করেছিলাম বিয়ে;
আসছে অনাগত শিশু আবারও...
গম্ভীর ধ্বনিতে ফেটে পড়ে অবনী,
সিংহের নাদের মতন!
এ যেন একেবারে ঢক্কা নিনাদ!
উদিত হয় বিভাবসু; ঠিকরে পড়ে প্রভা।
প্রেয়সী বসে থাকে সাজিয়ে আপণ,
সেই উন্মুক্ত আকাশ, বিস্তৃর্ন মাঠ; খোলা চুল আজও চোখে ভাসে!
মৃদু আলিঙ্গন, বিড়ালের আড়াই পা দেখা, কে না চায় ভবে?
আমি কৃষ্যমাণ এখনও,
ছুটে চলি বিহঙ্গের মতন নির্ঝরনীর কাছে...
তবে কেনো, কেনো?
মাথার ছাদের কথা আজও বলবো না; বিগড়ে গেছে বড্ড বেশি;
জরাজীর্ণ একেবারে নীরস!
স্বপ্নের জাল বুনি না আর,
আসছে দমকা হাওয়া; বস্ত্রহীন শরীর ...
আর দুরন্ত বেগে ছুটে চলা সেই ঘোড়া; পাগলা ঘোড়া!
না না, বাহাত্তরে ধরে নি আমায়; নশ্বর এই ধরণীতে;
ঝিঙেফুল ফুটছে কাননে কাননে...
কবিতা লেখা বুঝি আর হলো না!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক তারেক মনজুর -
কোনোদিন, কোনোকালে বলেছিলো- ‘কবির শক্তি নাকি অনেক বড়।’
কবিতা লেখা বুঝি আর হলো না!
তবে কেনো, কেনো , কেনো?
বাবার চোখের দিকে আর তাঁকানো যায় না!
মায়ের মলিন একটা মুখ!
চৈত্রের দারুণ খরা,
খাঁ খাঁ করে ভেতরটা, বুকের ভেতর!
তবে কেনো, কেনো?