তৃষ্ণা,তুমি ভেবেছো,আমি বদলে গেছি;
মানুষকে ঠকিয়ে টাকা কামানোর ধান্দায়!
ভয়ংকর নভেম্বর ভেবে ,
মনুষ্যত্ব নিয়ে আজ প্রশ্ন তোলো,তাই না?
সব থেকে বোকা মেয়েটা আজ যোগ্যতার গল্প শোনায়,
আর সব থেকে ক্ষত-বিক্ষত জিনিয়াস  ছেলেটা-
ভদ্রতার বীজ ছড়িয়ে দেয়; কী অদ্ভুত মিল মানুষের!
জানি আমার কোনো লাভ হবে না তাতে,
তবু কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!

নারীর শরীর কঠিন সময়কে পাড়ি দিতে পারে,
যখন বেশি উত্তেজিত হয় নিপল-ক্লাইটোরিস,
চীন সাগরের উত্তেজনা সেখানে কিছুই না;
নবাব আলীর দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনা!
গলা , ঘাড়, কব্জির ওপরের দুনিয়া ,
আর ত্রিভুজ খাতার ভ্যাজাইনাল মার্জিন!
অসভ্য চিন্তা- চেতনার কাছে আমি আজ অপরাজিত!
ঠিক  যেন-শিয়ালের কাছে মুরগি রাখার মতন।
কাব্য লেখা ভুলে যাইনি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!

‘মহাশ্বেতা দেবী’ আমি পড়েছি;
তোমার মতো  হয়তো কয়েক শতবার নয়,
সুজাতার গর্ভের বিস্ফোরণ,
যশোদার পচন ধরে যাওয়া স্তন,
আর দ্রৌপদীর রক্তাক্ত যোনি,
দুর্বোধ্য এক অদম্য হাসিতে আজও কাঁপে দ্রৌপদীরা;
এ যেন  এক আলট্রাসোনোগ্রাফিক দৃশ্যপট!
যে ভাষা তাঁর মৃত শরীরটাকে দিতে চেয়েছিল- ভুবনেশ্বরী ভাদুড়ী।
তবুও সঙ্গিনীর শরীরে আমি আগুন  চাই;
আমার আগুন লাগবে;অনেক আগুন!
ডোপামিন, অ্যাড্রেনালিন, নোরেপাইনেফ্রিন।
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!
সৌন্দর্য অবশ্য খুবই আপেক্ষিক ধারণা!
কামনা,আকর্ষণ,সংশ্লিষ্টতা সব; সব কিছু...
নতুন বইয়ের গন্ধ আমি নিয়েছি; এখন সব পুরনো!
বৃষ্টিভেজা মাটির ঘ্রাণ,সতেজ ফুলের গন্ধ!
ঘামে ভেজা ব্লাউজের গন্ধ এখনও নেয়া হয় নি আমার!
বড্ড অবাধ্য  দুটো চোখ;
আনন্দেও অশ্রু ঝরায়, দুঃখ পেলেও।
শান্ত, ধীর, স্থির;এ যেন এক অন্যরকম সুখ;
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!

সময় পেলে একবার এসো-
মন ছুঁয়ে যাবে, প্রতিটা শব্দে ...
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!
কালো রঙে মুগ্ধতা আছে বেশ!
আগে ভীষণ ভোর দেখতে ভালোবাসতাম,
বন্ধু মনসুরের ভোরের ছবির মতন;
সুন্দর,নির্মল,মৃদু আলো।
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!

এখন রাতের আকাশ, চাঁদ,
তাঁরাকে বড় আপন মনে হয়;
আমার নিত্য রাত জাগার পাখি।
আবার ভয়ও লাগে এই ভেবে -
যোগ্যতা না থাকলে বেল নাই!
আমাদের সুখন দাদা বলে কথা;
মোটিভেইশনাল স্পিচ!
ওদের দিকে তাকিয়ে আমি কাব্য লিখতে পারি-দাদা;দুরন্ত কাব্য!
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!

আজকাল নিজেকে ভীষণ অসহায় মনে হয়!
ছোটবেলায় শুক্রবারটা ভালো লাগতো বোধহয়;
মা ভালো রান্না করতো দেখে;খুব মনে নেই এখন!
কুয়াশা ভেজা ঘাস, শিশির বিন্দু,
কী ভীষণ সুন্দর লাগে!
কোনো এক অদ্ভুত কারণে শীতকাল আমারও ভালো লাগে।
তবে গ্রীষ্মের দাবানলও আমাকে খুব কাছে টানে ;একদম কাছে!
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি, তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!


পাহাড়, সমুদ্র কোথাও যাওয়া হয় নি এখনও;
তোমার বুকের পাহাড়...
সমুদ্র, না থাক-পরে বলা  যাবে ভিন্ন কোনো কবিতায়...
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!
তবে ইচ্ছে আছে,খুব কাছ থেকে আকাশ দেখবো,
মন খারাপের কোনো এক রাতে!
সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকবো একাকী; বড্ড একা!
আমার ভেতরের যন্ত্রণাটুকু-
সমুদ্রের গর্জনের চেয়েও অশান্ত!
নিজের ভাগ্যকে তাই আজ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেই,
একের পর এক!
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!


বড্ড বেশি অসাম্প্রদায়িক আমি ;
সাম্প্রদায়িক হতে পারি নি কখনও,
জগতের সব থেকে সুন্দরতম সৃষ্টি- নারী  ,
সব থেকে মধুরতম -বিরহ,দীর্ঘতম- অপেক্ষা,
আগলে রাখার তীব্র ইচ্ছাই বোধহয়- ভালোবাসা।
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!


গ্লোবালাইজেশন,মিডিয়া বিস্ফোরণ-
কিংবা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা;
এসবের বেল নাই আমার কাছে,
সবকিছু তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবো...
কাব্য লেখা ভুলে যাই নি তৃষ্ণা; দুরন্ত কাব্য!