একটা চাকরির জন্য কী করি নি আমি!
পর্যায় সারণীতে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি সোনার হরিণ,
নিস্ক্রিয় গ্যাসে দেখেছি অদ্ভুত খেলা ;
বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বিকীরণ আমিও বুঝি,
জৈব অ্যাসিডের তীব্রতার ক্রম; হ্যালোজেনসমূহের ইলেকট্রন আসক্তি,
নিশাদলের মত অদ্ভুত ব্যাপার!
ক্যাটায়ন, অ্যানায়নে খুঁজেছি সোনার হরিণ;
জৈব রসায়নের বেনজিন, টলুইন চুরমার করেছি কয়েক শতবার!
তবুও অ্যারোমেটিক যৌগ খুঁজে পাই নি কখনও ।
হাইড্রো কার্বনের কাপলিং বিক্রিয়াও বুঝি আমি;
কোনটা অ্যালকেন, অ্যালকিন, অ্যালকাইন!
আবার কোনটা কোন ভিট্টিওল।
কার্বন মনোক্সাইডের মত নীরব ঘাতক!
যেখানে নাইট্রাস অক্সাইডেও কোনো কাজ হয় না;
একটা চাকরির জন্য কী করি নি আমি!
অরবিটাল, ইলেকট্রন সংখ্যা আজ পানির দামে কেনা যায়।
জানি শূন্য মাধ্যমেও আলোর বেগ থাকে;
পটাসিয়াম সায়ানাইড মুখে তুলে নেবো না কখনো;
হোক না পৃথিবীর গতি জটিল প্রকৃতির!
পানির সংস্পর্শেও আগুন জ্বলে ওঠে; দাউ দাউ করে ...
একটা চাকরির জন্য কী করি নি আমি!
জীবনের ভৌত ভিত্তি-প্রোটোপ্লাজমে খুঁজেছি সোনার হরিণ!
নিউক্লিয়াস, রাইবোসোম, মাইটোকন্ড্রিয়া কিছুই বাদ রাখি নি আমি।
বংশগতির ভৌতভিত্তি ভুলে যাই নি এখনও...
মাইটোসিস, অ্যামাইটোসিস, মিউসিসের মতো শক্ত জিনিস!
অথচ দেখ, নিউটনের তৃতীয় সূত্র-
ব্যাটে বলে আঘাত করতে পারি নি কখনও;
পিষ্ঠটানে ছিটকে পড়েছি কয়েক শতবার, লক্ষ-কোটি বার!
পৃথিবীর বিভব মানের মত আমার মান- ঠিক তা বলবো না,
তবে বলবো-সেলসিয়াস, ফারেহাইট কিংবা কেলভিনে মাপা যাবে না।
ব্যতিচারের শর্ত দিতে আসি নি এখানে;
পড়ন্ত বস্তুর সূত্রের মতন !
জানি কোয়ান্টাম তত্তে¡র বাহিরে এসে রেওয়ামিল প্রায়ই অসম্ভব!
প্রেষণার সমীকরণ বুঝে কোনো লাভ নেই আর;
দৃশ্যমান, অদৃশ্যমান লেনদেন আমিও দেখি...
দেখি হিসাব সমীকরণে প্লাস-মাইনাসের অদ্ভুত আচরণ!
একটা চাকরির জন্য কী করি নি আমি!
উলম্ব বিশ্লেষণে দেখেছি অর্থের সময় মূল্য;
ভোগ্যপণ্যের ঋণ নিয়ন্ত্রণ, ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডের ছড়াছড়ি;
চলতি অনুপাতে খুঁজেছি সোনার হরিণ!
অসংখ্য আইনের ধারা, প্রখ্যাত নজিরে খুঁজেছি সোনার হরিণ,
ন্যাটোর দুর্ধর্ষ সৈনিক হয়ে খুঁজেছি সোনার হরিণ;
চর্যাপদের শক্ত পদে পদে খুঁজেছি সোনার হরিণ;
অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতের খেলায়;
একটা চাকরির জন্য কী করি নি আমি!
অথচ খুঁজে পাই নি কখনও, কোনোদিন, কোনকালে!
ভালোই হয়েছে, বেশ ভালো; আমার ইচ্ছে ডানায়-
আজ অজস্র কবিতা ওড়ে!
এক কালে আমিতো কবিই হতে চেয়েছিলাম,
কবি; এবং কবি...!