আমার ঘরে ভালোবাসা নেই
এখানে ভাতের জন্য মানুষ যুদ্ধ করে,
আমার ঘরে আদর নেই
এখানে মানুষ নাখেয়ে অনাহারে মরে।
আমার ঘরে রবীন্দ্রনাথ নেই
এখানে সবাই জীবনানন্দের মত,
ভাতের বদলে মার খেয়েও
কাটায় রাত-দিন মানুষ কত-শত।
আমার ঘরে অধিকার নেই
এখানে সকলেই অদৃশ্য দড়িতে বাঁধা,
মুখ খুললেই সকলের জানা
মৃত্যুই অপরাধীর একমাত্র সাজা।
আমার ঘরেতে জ্জ্বলছে আগুন
ক্ষুধার্থরা পেটের দায়ে লড়ছে প্রতিক্ষন,
বুদ্ধিজীবী মানুষ এসবে খুশির খোরাক খোঁজে
আর গান লিখে দায় ফুরোয় কবির সুমন।
সবাই মেলায় এসে উড়োয় রংমশাল
গোলাপি-নীল-সাদা-কালো কতই না তার রং,
মেলা শেষে যে যার ঘরে ফিরে যায়
বছর পরে আবার হয় মেলায় আয়োজন।
তারা যেখানে থাকার সেখানেই পরে থাকে রোজ
কেউ তাদের দিকে বাড়ায় না হাত,
কেউ বলেনা এক ফালি ভালোবাসা আছে
আছে মস্ত বড়ো এক ভাতের আকাশ।
আমার ঘরে শুধু রক্ত বন্যা বয়
সুখের দলিল নিয়ে নৃত্য করে রাজা,
মুখ খুললেই তুমি ঘরের শত্রু
মৃত্যুই তোমার একমাত্র সাজা।
আমার ঘরে যেদিন ভালোবাসা আসবে
সেদিন আমি ফোঁটাবো আনন্দের জুই,
আকাশের কালো মেঘ সরে যাবে ঠিকই
আমার ঘরেও ডাকবে শতকোটি বাবুই।