প্রেমিক কাকে বলে জানো?
না, আমি শরীর প্রেমিকের কথা বলছি না
নাই বলছি নারী প্রেমিকের কথা।
আমি তো ভাত প্রমিকের কথা বলছি।

আমি পথের পাশের সেই ছোট্ট ছেলেটির কথা বলছি।
সে প্রেমিক সেজেছিল,
সমাজ বাধ্য করেছিল তাকে প্রেমিক সাজতে।
সে ভালোবেসেছিল জীবন দিয়ে তার প্রেমিকাকে
ফলে সে পাপিও সেজেছিল।
তার কোনো লজ্জা নেই
নেই কোনো ঘৃণা।
যাকে ভারোবাসার জন্য তাকে
সহ্য করতে হয়েছে শত মানুষের
শত বঞ্চনা,
তবুও সে থামতে নারাজ
সে থামবে কবে?
বছর তার দু-তিনেক হবে।


সে ভালোবেসেছে শুষ্ক মরুভূমমির মাটিকে
সে ভালোবেসেছে পরিতোষের দোকানের ফেলে দেওয়া ডাসবিনকে,
সে ভালোবেসেছে কুকুরের ভাগ নেওয়া রুটির টুকরোটাকে,  
তবুও সমাজ জানতে চায়, সে থামবে কবে?
বছর তার দু-তিনেক হবে।


ভারোবাসায় ধংস -মৃত্যু আছে
সে ও ধংস হয়েছে,
মৃত্যু বরন করেছে কয়েকশো কোটি বার...
কখনো কুকুরের খাবারের ভাগ নিতে
কখনো না মাটিতে জীবনের অভাব দেখে
তবুও সমাজ জানতে চায় সে থামবে কবে?
বছর তার দু-তিনেক হবে।


আজ সে চিৎকার করছে
শত শত প্রেমিক চিৎকার করছে
তার প্রেমিকার আশায়
এক টুকরো ভাতের আশায়
একটু শান্তি ঘুমের আশায়......।