কৃষ্ণের কাছে মেসেস এলো; আজ নাকি বড়োদিন,
দশ মিনিটে বেরিয়ে আয়; চোকাতে হবে অনেক ঋন।
বুদ্ধটার ফোন বন্ধ; ম্যাসেজেরো রিপ্লাই দেয়না,
মুকেশটা বেজায় পাজি; গরিবদের খোঁজ নেয়না।
থাককে সেসব কথা এখন; যাবার সময় নিয়ে বাঁক,
করিমপুর হয়ে যাব; ও আমাদের সঙ্গে থাক।
যিশুকে কিছু বলিস নি তো; মনে আছে ওর জন্মদিন,
নাকি সে ঘুমোচ্ছ এখনো; যেমনি ঘুমোয় প্রতিদিন।
জানিনা ঠিক তবে সিওর; ঘুমোচ্ছে এখনো চুপটি করে,
শোননা ভাই আজ হুসকি থাক; রামটা নে ব্যাগ ভরে।
মহম্মদ এবার থামতো তুই; পকেট আমার গড়ের মাঠ,
টাকলা দুটো সব নিয়েছে; ছেড়েছে পেছনে আছোলা বাঁশ।
থাক সেসব মানুষের কথা; বাজার টা সেরে নিই,
কৃষ্ণ একটু ব্যাগটা ধরতো; বিলটা আমি চুকিয়ে দিই।
এই না না তুই কেন? দারা দারা আমি দিচ্ছি,
চাপ নিসনা হতভাগা; রামের দামটা তোর থেকেই নিচ্ছি।
কি বুদ্ধ জেগে আছিস; না ঘুমিয়েছিস কাক ভোরে!
রাত জেগে কি করিস বাবু; মাথায় সারাটাক্ষন মোবাইল ঘোরে।
আরে তোরা এসেগেছিস; আর বলিসনা ভায়ের দল,
মানুষ শান্ত করবে ওরা; নেট বন্ধ করে বল!
থাগগে সেসব মানুষের গল্প; হসপট টা দে না ভাই,
কাল রাত থেকে বসে আছি থের; যিশুকে এখনো উইশ করি নাই।
আরে থাম থাম দাঁড়া চুপটি করে; আমাদেরও একি হাল,
তাইতো কেক আর রাম নিয়ে; সেদিগটাতেই উড়িয়েছি পাল।
চলতো আর কথা বলিসনা; মোবাইলটা বন্ধ রাখ,
পাবজিটা আনইস্টল করেছিস?
সেসব কথা এখন যাক।
ওইদেখ যিশু গাছের তলে; বসে একা একা,
সিওর কারো অপেক্ষা করছে; কেউ কি করতে আসবে দেখা?
চলতো আমরা পেছন দিয়ে; চেপে ধরি সালার চোখ,
আমাদের ফাকি দিয়ে; বাবুর হয়েছে প্রেমের রোগ।
এ কে তুই, ছাড় বলছি! ভাই তোরা এলি,
তোদের জন্যই পথ চেয়ে বসে আছি কতটাক্ষন; ভেবেছি এবার ভুলে গেলি।
আরে সালা বন্ধু তুই; তোকে ভুলি কিকরে,
যাইহোক কেক কাট; আজ আড্ডা হোক রাত ভরে।
আজ আমরা রাম খেয়ে আড্ডা জমাব রাতে,
কৃষ্ণ-যিশু-বুদ্ধ আর মহম্মদ একসাথে।