বসন্ত এসেছে নিয়ম মেনে,
তারই সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেজেছে প্রকৃতি,
শিমুল গাছটা, পলাশ গাছটা লাল শাড়িতে
যুবতী হয়েছে বেশ,
জোনাকিরা ফিরেছে নিজের ঘরেতে,
খুশির গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে
প্রতিটা নগরীর চোখে মুখে,
তবুও কোথাও যেন বসন্তটা সীতাগন্ডিতে বাঁধা,
কেউ যেন খুবটা করেও ছুতে চেয়েও
পারেনি ছুতে তাকে,
কেউবা জ্বালাতে চেয়েও জ্বালাতে পারেনি
বসন্তের আলো,
নদীর ঘাটটা আজ বসন্ত শুন্য...
প্রকৃতি বসন্তে সেজে উঠলেও,
ঘাটের পারটা কেমন যেন বসন্ত হীন
কালো ম্যাস ম্যাসে কেমন একটা
অন্ধকার জড়িয়ে আছে চারিদিকে,
দিন দশেক হলো রূপার গা থেকে
সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
বসন্তের ঝা চকচকে রঙিন কাপর,
তার শরীরে এখন শুধুই
কঠিন কালো মেঘে ঢাকা,
নদীর ঘাটটা কেমন গোমরা হয়ে আছে আজ,
বছর আগে সেও পলাশ ফুলে সেজে উঠতো,
হাতের ছোয়ার ভরে যেত তার সমস্ত আকাশ
কত শত ভাবনা ঝড়ছে চোখ বেয়ে,
ভাবনার জল বাড়াচ্ছে নদীর উচ্চতা...
মাঝে মাঝে তার ঠোঁটের কোনেও
ফুটে উঠছে অপত্যাশিত হাসি,
কিন্তু সবই যে অতীত আজ,
সবই ঘোলাটে,
এমনি ঘন মেঘের আকাশে,
হঠাৎ রামধনুর মত,
কোথা থেকে এক দুরন্ত বাচ্চা এসে,
তার গালে আবির মাখিয়ে
খিলখিলিয়ে হেসে বললো,
মা বসন্ত এসে গেছে...।
তারই সঙ্গে প্রকৃতিও খিল খিলিয়ে করে হেসে উঠলো........
মা ছেলেকে জাপটে ধরে বললো,
এইতো আমার বসন্ত এসে গেছে...।