সেদিন বৈশাখী বেলা
স্মৃতিময় সোনালী শৈশব
ডানপিটে সব কিশোরী কিশোর
দল বেধে হেটে চলা
গ্রামের পরে গ্রাম পেড়িয়ে
বন ঘেষা ঝোপ ঝাড়ের ছায়ায় ঘেরা
অাকা বাঁকা মেটো পথ
পথটি ধরে মাঠ পেরোলেই
তুষাই নদীর পাড়
প্রায় শুকনো নদীর তলায় কোমড় জল
তার উপড় বাঁশের সাঁকো
সাঁকো পেড়িয়েই হিজলতলীর হাট
বৈশাখের পয়লা দিনে
বসতো যেথায় অাড়ঙ কিংবা বারনি মেলা
ছুতোর, কামার আর কুমারীদের
নানান মালের পসরা
দু'আনাতে মাটির পুতুল,পালকী
চারআনাতে ফল,পাখি আর
হাতী,ঘোড়া,হরিণ, বানর, ষাঁড়
আরো ছিলো কত কিছু
ময়রা মুদির মুড়ি মুড়কি, খেলনা মিঠাই
বেলা শেষে ঘরে ফেরা
হাতে নিয়ে বাঁশের বাঁশী
কিংবা ঢাক ঢোল।
সেদিনের সেই বৈশাখী বেলা
আজ কেবলি স্মৃতিময়
আধুনিকতা আর শহুরে ছোয়ায়
সবি আজ হচ্ছে যে বিলীন
বৈশাখ এলে এখন
চারিদিকে লেগে যায় ধুম
করবো বলে নববর্ষ বরণ
সেতো শহরে নয় পল্লী গাঁয়।
আজকের এই বৈশাখী মেলা
নয়তো সেদিনের সেই বৈশাখী বেলা।