(দাওয়াতে ভোজন)


দাওয়াত তুমি এ সমাজে অমূল্য রতন,
সব দাওয়াতে সব মানুষ পায়না নিমন্ত্রণ।
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি
পায় যে সবার আমন্ত্রণ।
কে যে আপন, কে যে পর
বুঝে কয়জন।
টাকাওয়ালা বাড়িওয়ালা আর নেতাজী ওরাই তো এই জগতের অধিপতি,
আসেন আসেন বড় ভাই,
দেখেন দেখেন সবাই আসছে  সভাপতি।
ওরা নয় জ্ঞানী, কি করে হলো, বিদ্যা ছাড়া, ওরা গুণী ,
এই জগতে কে কার, কথা শুনি।
গলায় গলায় পিরিত করে ওরা কয়জন,
কে কার, কে কাকে বানাবে, আত্মীয় স্বজন।
সবার সাথে হয়না ভোজন প্রয়োজন,
মিলেমিশে চলবেনা, কারো কথা শুনবো না,
১৬ আনা আমার বুঝি, তোমরা কেউ পাইবা না।
দাওয়াত দিবো মুখে মুখে আসলে খাবার দিবো না,
উঁচু নিচু ভেদা ভেদ তোমায় মানতে পারবো না।
লাঞ্ছনা গঞ্জনা আর্তনাদ অপমান,
ধনী গরীব ভেদাভেদ এ আছে তাঁহার প্রমাণ।
সব দাওয়াতের অতিথি, ভোজন করে না,
মনে রেখো সবার দিন, আসবে ফিরে, ভুলে যেওনা।
এমন কর্মে দাওয়াতে আহার মিলবে না।
যেমন কর্ম তেমন ফল
মেনে নাও না,
তেলা মাথায় তেল দিয়ে
রুজি ক‌ইরো না।
এই দুনিয়া এক আজব কারখানা,
ছোট হয়ে বড়র সাথে পাল্লা দিওনা,
গরীব হ‌ইলে ধনীর সাথে জিততে পারবে না।
সবার থেকে নিমন্ত্রণের কামনা করোনা,
দয়াল দূর করে দাও সকলের আর্তনা।