রাত যখন ল্যাম্পপোস্টের নিচে কুকুর হয়ে কাঁদছিল,
তুই তখন রক্ত মুছছিলি, একটা ছেঁড়া ওড়নার আঁচলে।
কাপড়ে তখনও লেগে ছিল কোনো এক জানোয়ারের নখের আঁচড়,
হাড়ের গভীরে তখনও পোড়া বারুদের গন্ধ!

তোর বুকের ভাঁজে ঘুমিয়ে ছিল একটা বিবস্ত্র চাঁদ,
তোর পায়ের নিচে গুটিসুটি একটা থেঁতলানো ব্যথা।
নখের ভেতর লেগে ছিল গলা ফাটিয়ে চেঁচানো রাতের কালি,
চোখের ভেতর তখনও দাউদাউ একটা রক্তমাখা সকাল!

রাস্তায় টহল দিচ্ছে পিস্তলওয়ালা নক্ষত্র,
আদালত শোনাচ্ছে তোর পোশাকের রায়,
আর শহরের ট্রাফিক বাতিগুলো— সবুজ, হলুদ, লাল—
আলাদা আলাদা গুনছে তোর দুঃস্বপ্নের বয়স।

ফুটপাতের দেয়ালে আঁকা পোস্টারগুলো তোর নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে কাঁপছে,
ফুটপাতে উবু হয়ে বসে থাকা অন্ধ ভিখারি
তোর নীরবতা ছুঁয়ে দিয়ে বলছে—
“আজও কি বিচার হয়নি?”

তুই একদিন ফিরবি, একটা ধারালো অভিশাপের মতো—
আকাশের সেলাই খুলে দেবে,
জিভ দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবি সব ধর্ষকের নাম,
তারপর শহরজুড়ে টাঙিয়ে দিবি—
একটা পোড়া চাঁদ,
একটা জ্বলা শরীর,
একটা অসমাপ্ত প্রতিশোধ!