১/
তোমার জন্য অপেক্ষা করে, রোজ কবিতা লিখতে বসি
অথচ, তুমি এখনো আসলে না
অবশ্য তুমি না আসলেই ভালো
কাছে আসলেই কবিতা হারিয়ে যাবে।

২/
দেশলাই কাঠি টাও ভেঙে গেলো।

৩/
তোমার সকল দুঃখ,আমি কুড়িয়ে নিবো প্রথম প্রহরে
আনমনে তুমি আসবে যেদিন, আমার এই নিস্তব্ধ শহরে।

৪/
যার কাছে ফিরতে চেয়েছি, হারিয়ে গিয়ে আবার
গল্প ছিলো অনেক বলার, সময় হয়েছে যাবার।

৫/
চাঁদ যেমন নিজে জ্বলে তোমাকে আলো দিচ্ছে,
আমি আলো কে না,
তার জ্বলে উঠা শরীর কে দেখতে পাই।

৬/
যে নদী তোমার জমি কেড়ে নিয়েছে
সেই নদীর পানিই জমিকে উর্বর করেছে,
যেখানে তোমার খাবার চাষ হচ্ছে।

৭/
এখনো দুইজন ঢের দূরত্বে বসবাস করছি।


৮/
আমি আজীবন তোমায় খুঁজে যাবো,
এই জ্যোৎস্নায় ভরা আকাশের ক্ষীণ আভায়।

৯/
যখন,
একটি সাদা বক কালো বিন্দু হয়ে আকাশে হারিয়ে যায়
যখন সাঁঝের নির্জনতা ছুটে চলে নক্ষত্রের পানে,
আমার দেখতে ভালোই লাগে
এভাবেই দেখতে দেখতে একটা জীবন চলে যাচ্ছে।

১০/
এই উদাসীন হাওয়া পেখম মেলেছে
রক্তবর্ণ কৃষ্ণচূড়ার কর্ণ মঞ্জুরীতে।

১১/
তুমি যে দিকেই যাও, যে দিকেই ফিরো
আমার অশ্রুসিক্ত দু'নয়ন দেখতে পাবে।

১২/
প্রেমের হাতে ধরা দিতে পারো
করে সব বাকি উপেক্ষা
তাই তো এখনো বসে আছি একা
উপেক্ষা শেষের অপেক্ষা।

১৩/
তারা প্রেমিকার চোখে তাকিয়ে
জুড়াতে পারে না প্রাণ
তাইতো,
পুরোনো প্রেমের ক্ষতের ছায়ায়
প্রায় প্রেম না হওয়ায় যত অভিমান।


১৪/
এই যে পথ টা চলে গেছে
এর শেষ সীমানা খোঁজার চেষ্টা করেছিলাম,
শপথ করেই বলছি, তা ছিলো সম্পূর্ণ নিষ্প্রয়োজন।


১৫/
নিয়নের বাতি থেকেও জ্বলন্ত হচ্ছো তুমি,
অসীম দূরত্বও, তোমাকে লুকাতে পারেনি।


১৬/
তোমার প্রিয় ছিলো ঝর্ণা, আমার প্রিয় সাগরের লহর
তোমার ছিলো রঙিন বাড়ি আর আমার আস্ত শহর।

১৭/
মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে যা খোঁজে,
আমি তোমার অবলোকনে তা পেয়ে যাই।