কবিতা থেকে একটু দূরে
এই এখানে, ছোট-বড় শব্দের ভিতর
যেখানে হৃদয়ের আনাগোনা ।
তোমাকে ভালোলাগে ভীষণ
ভালোবাসি কিনা কখনো !
অর্থহীন অনর্থের এই যে ব্যকুলতা
অনুভবে হৃদয়ের উষ্ণতা ছুঁয়ে
ছিনতাই হয়েছে কত শত মুহূর্ত !
তবুও তুমি শর্তহীন আমার
অদৃশ্য কোন শর্ত।
তুমি শর্তহীন নিরপেক্ষ
তুমি মুক্ত বিহঙ্গ,
তুমি আসলে আসো,
তুমি ভাসলে ভাসো
আমি দিগন্ত,একবুক মেলে দেব নীল আকাশ।
কেন যে তোমার না বোঝা কবিতা ,
সন্ধ্যায় ঘরে ফেরা পাখির কলতান!
রাতের গ্রন্থিতে লুকানো ;ভোরের স্নিগ্ধ সুরের আলাপন!
তুমি শর্তসাপেক্ষ নয়, তুমি শর্তহীন নিরপেক্ষ
তুমি যেমন খুশি সাজতে পার জগৎ সংসারে।
তুমি রৌদ্দুর ধূলিকনা,
সমুদ্র জল বিন্দু;
তুমি কাঁদামাটির গন্ধসুধা
মেঘ জলে ভিজে দেহের আলিঙ্গন।
তুমি যুগে যুগে সভ্যতার বিনির্মাণ
সংস্কৃতির আদল;
তুমি অনিন্দ্য সুন্দর
চিরন্তনতা সংক্রমিত জাগ্রত প্রাণে।
তুমি ঐ দূরের আকাশ,সন্ধ্যা তারা
তুমি উঠানে ছড়ানো ঘাস,
কুয়াশা ভেজা শিশির ।
তুমি পূরবী রাগিনী,গোধূলি মায়া;
তুমি কাব্য গানে
তুমি যেখানে-সেখানে
তুমি সম্মিলিত বিশ্ব-বিশ্বরুপী।
তুমি শর্তহীন নিরপেক্ষ
তুমি কখনো হাস-হাসাতে পারো।
তুমি শর্তহীন ভালবাসন
হৃদয়ের কাঁপন,
তুমি রাতের আঁধারে
সাজানো জোনাকির বাসর।
তুমি কখনো মুক্ত,
কখনো আবদ্ধ সংসার বৃত্তে।
তুমি মায়াজাল-কখনো উদাসীন।
তুমি আলোকছটার অসংখ্য পথ
দৃষ্টিতে বুলিয়ে তোমার গন্তব্য।
ঐ যা তুমি যে টুকু চল;
আসা-যাওয়ার এই যে তুমি
জগতের অনির্বায শর্ত
তবুও তুমি শর্তহীন –
আমার,অশেষ কাব্যের সূচনা লগণ।।