জানি আমি,এই সভ্য যুগে
ঝুলে আছি-ঝুলছি আদি-অন্ত
অদৃশ্য কোন ভারসম্যতায়।

এখানে সভ্যতার মোড়কে মানুষ
শুধু ফ্রেমে আটা মানুষে--
চারপাশে মানুষের গন্ধ,কুকুরের ঘেউ ঘেউ
মুখ ভ্যাংচে নিশ্চুপ দাড়িয়ে কংক্রিটে পাহাড়।
এই তো আমি,আষ্টে-পৃষ্ঠে জগতের সমস্ত আলোড়ন
বিন্দু আবিষ্ট বৃত্তে-সংসার,বন্ধন,মায়াজাল
সবই আছে। এই সব অতলন্তায় পূর্ণ হয়েই আমি অশেষে শূন্য।

নৈঃসঙ্গ্যতার যোনির ভিতর প্রসব বেদনা কাতর
পুর্নজন্ম ঘটে অসংখ্য--
যেখানে আমি শিশু,আমি পিতা,আমিই গর্ভধারিনী।
সমস্তে মিশে বিক্ষিপ্ত হাওয়ায়
যখন আমি আঁধার সম্মোহনে,আসক্ত আলোয়
অঙ্কুর কিশলয় প্রাচীন অরণ্যে--
হয়তো তখনো আমি কোনো তত্ত্বকথায়
চর্যার আলো-আঁধারিতে।

তামসযুগের বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তুপে
যখন নাজমহলে বেজেছিল ঘুঙুর
তখন আমি প্রণয়োপাখ্যানে আটকে পরা নারীর চুম্বনে।
বিভ্রান্ত এই আমি,যখন নবদ্বীপে
দর্শনে ঈশ্বর পুরীর ধ্যান নীলায়
খানিটা স্থির হয়েছিল দৃষ্টি তক্ষশীলায়।
কী আছে ঐখানে তীর্থের আয়োজনে ?
জীবনের উত্তাপ নেই,
শুধু তার একঘেঁয়ে আত্মসমর্পন।

অথচ যখন আমি এই সভ্য জগতে
আকাশ-বাতাস-ভূতলে---
আলোকিত বিশ্বচরাচরে।
এখানে জনসমুদ্র উত্তাল তরঙ্গ
আঁচড়ে পরা উপকূলে
অর্থহীন প্রাণের আকুতি,জীবন কলহোলে।
কী আছে এর মানে;
যখন আমি লোকারণ্যে--
একলা হয়ে যাই !
নামহীন-সজ্ঞাহীন নিঃসঙ্গতায় !!