রাতের আঁধারে উলঙ্গ চেতনা
সংক্রমিত আমার দেহ,
ধেয়ে চলে আদিম অরণ্যে
অদম্য সেই নেশায় পাহাড়ে,গুহায়,
বৃক্ষলতা কিংবা খোলা জানালায়।
আলোয় যে দৃষ্টি নেশায় ছুঁয়ে দেয় মন
আঁধারে স্থানান্তরিত দেহের গহীন,
জেগে উঠা রক্তকোষে প্রচণ্ড দানব
অন্তর ইন্দ্রীয়ের কতকাল করেছে দাহণ!
এখানে অসহায় সমাজ নীতি,ধর্ম,মূল্যবোধ।
নৈতিকতায় জাগ্রত এই যে পরাজয় গ্লানি
সেও স্থিমিত নয়;বিচলিত-বিবর্তিত,
মনুষ্যত্বের অপমৃত্যে উলঙ্গ উল্লাসে।
দেহের আঁধারে বন্দী ঐ যে যতটুকু আমি
নিরুপায়,মুক্তি ব্যকুলতায়
যন্ত্রণা-মরণ বিষে।
দেহের কালিমায় হৃদয়ে জমে অসংখ্য ক্ষত
বিদীর্ণ মন বড় অসহায়;
কখনো ডুঁকরে কাঁদে
ভেতর,মানব শিশুর মতন।
দিনের আলোয় বিস্ফোরিত পাহাড় চূড়ায়
আমি,পুড়েছি কত ভীষণ!
তবুও ঢেকে যায় আঁধারে
ঐ পাহাড়-সমুদ্র;
সীমাহীন আকাশ নীলে
ভিতরে –বাহিরে
প্রতিনিয়ত চলা অনির্বায সংঘর্ষ।।