রাত নেই। হাঁটু দেখতে পাচ্ছি কোনও ছেঁড়া তাঁবুর মধ্যে।
পতাকার মতো এক শরীর, খুন করা যায় নি দোকানীকে।
ঠাণ্ডা লাগছে না কিন্তু, টেনে টেনে সবকটা শরীর থেকে
খুলে যায় আঙুল, কনুই অথবা একটা হাঁটু।
আমরা তো জানি ইতিহাস একটি বিষয় মাত্র আর কবিতার
কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। নিজেদের তাঁবুতেই মদ্যপান চলে
তবু মাঝে মাঝে লাশ হয়ে ঘরে ফেরে মোহব্বত।
হাসি ও সঙ্গমের মধ্যে এক আঙুলের সময়। ভীষণ ভীষণ
পুড়ে যাওয়া কালো আলু মেখেই আজ দোরে শারদীয়া। “থাক্”,
বলে উঠে পড়ে আমাদের আমোদের কাল। হাতে যা উঠে আসে
তোমাদের ভিক্ষাপাত্রে করেছি দান কোনও দুর্লভ-দুর্ভাগা-লগ্নে।
নর্তকীরা নাচে কখনও চাবুকের ভয়ে, কখনও পিতা-পুত্র-স্বামীর
মুক্তি ও মঙ্গলের জন্য, অধুনা স্বাধীনতার জোয়ারে।
আমাদের কেউ কেউ মেয়ে কেউ কেউ ছেলে তবু যারা শখের জন্য
চাকরি করে না তাদের সকলের বেঁচে থাকার জন্য নতুন মোড়ক চাই
কর্তৃত্ব করার জন্য চাই নতুন মরদ
নতুন বিশ্বাস চাই কখনও পৃথিবীর চারিদিকে সূর্য ঘুরছে কখনও
সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী চাঁদের ভাগ্যে রাজার সিংহাসন জুটবে না!
জীবাণুদের বাদানুবাদে ধরা পড়ে আমাদের তথ্যের নশ্বরতা।
সেদিনও জামা ছিল না, পৃথিবী যেন এক বিশাল চৌবাচ্চা আর
বিজবিজ করছে মানুষ
যাদের আর কোনও বিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।