বৃত্তি পেয়েছিলাম। ক্লাস তখন পাঁচ ছয়
নাকি সাত! ইস্ মনে থাকা উচিৎ ছিল।
টাকাটা নিয়ে কি যে করি ভাবতে ভাবতে
সাইকেল কেনা ঠিক হল, যেন জীবনের
স্বাধীনতা কিনেছি দুটো চাকা আর ইচ্ছেখুশি
প্যাডেলে। যে বয়সে আজকালের বিত্তবানের
খোকারা লার্নারের লাইসেন্স করাতে যায়,
আমি ঐটুকু নিয়ে বিশ্ব কব্জা করার স্বপ্ন
দেখি আর রোজ একটা করে গলি খুঁজে
বার করি। একদিন সাইকেলটা চুরি যায়।
অনেক খুঁজেও, অনেক নজর কড়া করেও
পাওয়া গেল না। তবে আমার চলাফেরা
বন্ধ হয়নি একটুও। ততদিনে মনের মধ্যে
বিকেলের বিশ্ব আস্তানা গেঁড়ে সাম্রাজ্য
বানিয়ে ফেলেছে। মেধার জোরে আজও
এদিক ওদিক যেতে হলে চুটিয়ে খানিকটা
চিন্তামুক্ত ভ্রমণ আগে সারি। আর ঠিক
তখনই মনে হয়, এই হয়তো কোন গলি
থেকে কোন কিশোর বেরিয়ে এল। আমাকে
ধাক্কা দেওয়ার ছক কষছে আর একটুও
বেল না বাজিয়ে সন্তর্পণে প্যাডেল মেরে
এগিয়ে আসছে পুরনো সেই সাইকেলটাসমেত।