পায়ের তল হ'তে ক্ষণে ক্ষণে
   স'রে যায় বালুকারাশি
যেন কোনো সামান্য বিপদের
   ছোট্ট এক সাবধানবাণী

সামান্য, তাই গুরুত্বহীন
   শক্ত সমর্থ স্থুল মাটি তো নয়,
স'রছে নেহাতই ঝিরঝিরে বালি

ভয়ঙ্কর গর্জন ক'রে
   ধেয়ে আসে সাগরের ঢেউ
মুখেচোখে লেপে আছে
   হুমকির বিবরণ

গর্জায়, তবে যথারীতি
   বর্ষাতে পারে না ততো
তাই হুঙ্কারই সাড়,
   হুমড়ি খেয়ে লুটিয়ে পড়ে পায়ের পাতায়
পাদুকাদুটি করে শীতল সিক্ত

কিছু বুঝিয়ে দিতে এসেছিল যেন উদ্দাম জলস্রোত
   তবে সে যে বিজিত
নখদন্তহীন বোকা ব'নে যাওয়া বিদ্রোহী
   বা
শিকলবেষ্টিত নুয়ে পড়া
   অসহায় বন্দীরই মতো

নিস্ফল একেক প্রয়াস, বাড়িয়ে তোলে
   শুধু মিথ্যা অহংকার, মেকি অহংবোধ
ঔদ্ধত্য হ'য়ে ওঠে আরো উদ্ধত
   দম্ভের ফুলেফেঁপে ওঠে দাম্ভিকতা
নেহাতই মূর্খের ন্যায় করে দর্প
   মনে করে -
অজেয় হ'য়ে থাকবে অজয় চিরটাকাল

স্বাভাবিক, তবে - - -
   বিধাতা কি চায় না ভিন্নতার আস্বাদ !!!
প্রশ্ন, কিভাবে আসবে পালা পরিবর্তন...

চোরাগোপ্তা লুকিয়ে আসে আরেকটি ঢেউ
   বালি স'রে গেছে অনেকখানি ততক্ষণে
বেসামাল ক'রে মাথার উপর
   আছড়ে পড়ে উদ্দাম জলোচ্ছাস

নিমেশে উৎখাত হয়
   পদতলে কঠিন কিছু
ছিটকে পড়ে দম্ভ
   উৎপাটিত হয় দর্পশির

পিচকালো সবকিছু কিছুক্ষণ
   অতঃপর পুনরায় আলো
তবে ভিন্ন আলো

অন্ধকারের পর্দা ছিঁড়ে উন্মেষিত
   এ আলো বিভিন্ন
কোনো 'একটি' রঙের নয়
   যে কোনো রঙেই থাকে নিহিত
সাতটি রঙের মিলিত শক্তি
   আজ 'একটির' স্থানে সাতটিই বর্তমান
কোনো 'এক'-কে প্রতিনিধি ক'রে নয়
   উদ্ভাসিত আজ নিজনিজ স্বতন্ত্র সত্ত্বায়

হু্ঁশিয়ারি দিয়ে,
   কিন্তু আসলে অতর্কিতে
এভাবেই আসে অনিবার্য সে,
   পরিবর্তন আসে
অপরিবর্তনের পরিবর্তে...

** ২০০৪, দীঘা, সমুদ্রস্নানের পর..