তাকে তাকে সাজানো কাশফুলে ঢাকা
যে মালভূমি প্রান্তর, পাহাড়ের বুকে আঁটা
এডিফিস রক
কোলে ঢাকা এ অরণ্য
মনে করায় তোমাকে
এখানেই কি থাকো তুমি বসুমতী!!
কি তেজ তোমার মিশমিশে কালচে বাদামি রঙে
খোঁপায় বাঁধা বনফুল
লতা পাতায় গাঁথা
দুলছে তোমার কোমরবন্ধনী
নিটোল শরীরের প্রতিটি খাঁজে লুকিয়ে যখের ধন
খাটো ক'রে পড়া সবুজ শাড়ির আঁচল
অনাবৃত পৃষ্ঠে বিদ্যুৎ ঝলকানি
পিছলে যায় দৃষ্টি
আজ চোখ ভ'রে শুষে নিচ্ছি সবকিছু
দাও খুলে বাহুজোড়
তোমারই আবরণে করব অবগাহন
সন্ধ্যে ঘনায় যখন পাহাড়ের কোলে
সুড়ঙ্গ যেন গভীর থেকে গভীরতর হয়ে ওঠে
আলো আঁধারির বুক চিরে ছুটে চলেছি আমি
রাতের জোছনায় সুগভীর জলরাশি
এক একটি চরিত্র খেলে যায় তোমার গাত্রে
চেনা ছাঁচের কত মুখ যাওয়া আসা করে
ওই মর্মর পাদানিতে পা রেখে
পিপাসু মন চায় তোমার রূপসাগরে ডুব দিতে
আকণ্ঠ পান করবো অমৃতসুধা
হে জগৎজননী এখানেই কোরো আমায় বিলীন
এই নিবিড় আশ্রয়েই হবো প্রকৃত স্বাধীন
হৃদয়পাখি আজ কটি কথা কয়
কান পেতে শোনো তুমি
“পশ্চাতে নাহি চাহি মম
অগ্রে করি গমন
সময় করেছে মোরে ধাবিত
ওহে শোনো গো বসুমতী
আমি আসছি, আমি আসছি
তোমারই বন্ধনে হবো প্লাবিত”