দেবযানী, কেমন আছো তুমি?
মনটা আজ শ্রাবন আকাশের মতো
ভারি হয়ে আছে।
তোমায় নিয়ে অনুভূতি গুলো
মনে হয় বর্ষার ঝড়ো হাওয়ার মতো
আজ একটু বেশি বেশামাল।
আকাশে মেঘের ঘনঘটা,
বিরহী আবেগে পাহাড়ের গা ঘেঁষে মেঘেদের অভিমানী ছুটাছুটি।
ঝিরিঝিরি হাওয়ায় কচি পাতার ফাঁকে ফাঁকে
দোলা দেয় বিদীর্ণ শিহরণ।
এ - কী ! বুকের ভিতর কী এক অদ্ভুত কম্পন,
বুঝি , টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের
বিষন্ন ক্রন্দন ।
মনে পড়ে দেবযানী!
বসন্তের সেই অনিন্দ্য সুন্দরের উষ্ণ আবেগের আকুলতা, ঝরা পাতার অন্তরালে শিমুল পলাশের লালের রঙিন মহরা ।
আর রোদে -মেঘে- বৃষ্টিতে
চঞ্চল উৎকণ্ঠায় উদাসী ব্যাকুলতা।
জানো দেবযানী,
আমি এখনো মাঝে- সাঝে যাই, সেই বৃক্ষতলে, যেখানে অনেক ফাগুনে-নন্দিত ধ্যানে,
প্রতীক্ষায় থেকে থেকে,
প্রেমের আবেশে এঁকেছি স্বপ্নের দেহলতা।
তোমাকে, তোমাকে ভী-ষ-ন মনে পড়ছে আজ!
আমি আজ ও বসে আছি একা,
সেই -সেই বৃক্ষছায়া ,
যেখানে কৌতুহল নিসংকোচে হয়েছে একাকার,
দেবযানী, স্মৃতিগুলো কেঁদে, বহু অভিযোগে ,
নাড়া দিয়ে যায় বারবার।
=============