আজি এক প্রতিবেশী এসেছিল ঘরে,
মনে বড়ো সাধ ছিল রাখি তারে ধরে।
ধীরে স্থিরে এসে হেথা বসে ছিল খাটে,
বাঁশরীর তান যেন শুনলাম বাটে।
তার হিতে কী যে করি,উচাটন ভেবে;
ঘরের প্রদীপ হাওয়ায় গেল নিভে।
নিকেতন নিরালোক,মোহময় রাতি;
পাশাপাশি বসে আছি হেন দুই সাথী।
সহসা হেরি অন্তরীক্ষে মৃগাঙ্ক দোলে,
হৃদয়ের যত কথা বলল সে খোলে।
ভুবন প্রুজ্জল, দূরীভূত অন্ধকার;
আমি আর সে জ্যোৎস্নার অংশীদার।
তার রূপে বিমোহিত বসুমতি সারা,
আলোকছটায় যেন বসেছে পাহারা।
সে যেন ঘরের চাঁদ- পূর্ণিমার আলো,
আপন মহিমায় কিরণ যে ছড়ালো।
কী জানি কী মনে করে এসেছিল ঘরে,
হঠাৎ মিশে গেল পথের অগোচরে।
লাভ কী গো তার তরে করে মিছে শোক,
এত কাছের- তবু নয় আপনার লোক।
১৭ বৈশাখ ১৪১৮ বঙ্গাব্দ
ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
(সম্মান প্রথম বর্ষে পড়ার সময় এই ঘটনাটা ঘটেছিল।)