সে একাকী হাঁটিতেছিল নদীর পাড়ে,
অতি বিমর্ষ-চিন্তাগ্রস্থ লাগিল তারে।
চোখে কালো চশমা, হাতে বাঁশের বাঁশি;
নদীর জলে তরণী যাইতেছে ভাসি।
হাঁটিছে আর চাহিছে তরণীর পানে,
সহসা কী গান ভাসিয়া আসিল কানে!
বংশীটা তুলিয়া গানের সুর তোলে,
জগতের কোলাহল চপলতা ভোলে।
কিছু পথ যায়, দূর দিগন্তে চায়;
চারিপাশে শুধু জলরাশি দেখা যায়।
দেখা যায় কত ভাষাভাসী, বনবাসী
কেহ নহে আপন জনা, দেখিল আসি।
আকাশে কালো মেঘ, বাতাসে কার মায়া;
ওপারে দেখা যায় বট বৃক্ষের ছায়া।
চেতনায় তার লিখা ছিল যার নাম,
আজ তারে বারেবার করিছে প্রণাম।
জীবনের তটিনীতে উঠিয়াছে ঝড়,
সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বাসস্থান ঘর।
শ্রান্ত প্রাণ জীবনের প্রতি বড়ো অভিমান,
সারাক্ষণ-ই চাহে প্রাণ তাহার অবসান।
একা নদীর পাড়ে ওপারে চায় ফিরে ফিরে।
স্বাগত জানাবে কে গো আজ এই অভাগারে।
গন্তব্যহীন যাত্রা! কোথায় যাবে কবি,
ভাসিতেছে চোখে এক আলেয়ার ছবি।।
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯ বঙ্গাব্দ