যদিও রক্তের বন্যা
গায়ে জড়িয়ে তোমার আগমন
প্রসববেদনা ভুলে জড়িয়ে ধরেছিলো মা
দুগ্ধ দিয়ে করেছিলো সম্ভাষণ
অতঃপর তোমার নাম রাখা হলো স্বাধীনতা!
আমাদের কেউ কেউ তোমাকে যৌবন বলে ডাকতো
বলতো, তোমার নাকি বয়স কখনও বাড়বার নয়
তাই হয়তো স্বা-ধী-ন-তা শব্দটা ভাবতেই মনে হয়
রোদরোজ্জ্বল দুপুর রেশমী খোঁপা খুলে;
স্বপ্নবোনার দেশে চলছে অবিরত
বেঁচে থাকার গান বুনতে!
আমার নিষ্পাপ স্বাধীনতা-
তোমার চোখে দেখতে চেয়েছিলাম
গেয়ো পথে ছড়ানো মায়াময় মৌরীফুলের সুবাতাস
তুলসীগাছের সজীবতার আকর
চিরসবুজ মাঠের ফসলের ডগায় উৎসুক পাতার মাতামাতি
মানবতার বাদামি বুকে প্রার্থনারত আগামির সুপ্রভাত!
ওগো নগরবাউল স্বাধীনতা-
আজ কেনো তোমার চাতালজুড়ে দেখি
ভয়ার্ত গাঙচিলের উড়োউড়ি
যারা সময়ের নির্যাস থেকে উপহাসের স্রোতে ভাসিয়ে দিচ্ছে
শিকড়ে বাঁধা মাটির পাঁজর!
আজ নাগরিক ফুটপাতে ধুলো সরালেই ধরা পড়ে
হাজারো ভুলে ভরা জীবন
ভেবেছিলাম তোমার উদ্দামশরীর জুড়ে
জন্ম নিবে নিরাপত্তাহীন হাজার স্বর্ণলতার চারা
ভেবেছিলাম সময়ের লোমকূপ থেকে
আদপেটা সভ্যতার চিৎকার ঘুছিয়ে
রক্ত আর ঘামের দামে উপার্জিত
স্বাধীনতার মূল গন্তব্যে পৌঁছাবো, কিন্তু
কে বা কারা তোমার ফুসফুসে ঢেলে দিলো
এমন বিষাক্ত নিকোটিন, তোমার আহত বুক থেকে
এখনও ঝরছে মরণব্যাধি হেমলক!