একটা অদেখা সম্পর্কে আত্মীয়তা তার সাথে
নেশায় জবুথবু পথিকের মত
বাহ্যিক উপস্থাপনায় স্বপ্ন বুনা সংসারে
তার মেজাজী রুক্ষ চোখে;
চশমায় আড়ালে লুকানো রাগী চেহারা
ভারী ভারী কথার আদলে আত্মকেন্দ্রিক পুরুষটাই
কাদা ধুলোর পথ পেরিয়ে আমার এই সব দিন রাত্রিতে
শরৎ নীলিমায় মগ্ন মুগ্ধতায় ধবল কাশবনে উতলা আকাশ।
কখনও আষাঢ়ে নদীর শরীর জুড়ে
বৃষ্টির নোলক পরে কাগজের নৌকায় সরষ উর্বশী ঝরনা
আমার অষ্টাদশ পেরিয়েই তার দেখা
জীবন সম্পর্কে ঘুমকাতুরে উড়োউড়ো মন
তখন উতলা বাতাসে ব্যাকুল মুগ্ধ দোলাচল আমার।
হঠাৎ আঁধারের সাথে সখ্যতায়
মাছের কাঁটার মতো বিদ্ধ নিঃশ্বাসের ছোঁয়া
আত্মঅভিমান প্রকাশের অক্ষমতায়
একটা কাঙ্গালপনা ছিলো বুকে
ভালবাসার কাঠগোলাপ ছোঁয়ার।
বেপরোয়া খেয়ালী কাঠখোট্টা আশ্চর্য অদ্ভুত
পুরুষটাই শতবার নুন ভরা মনে
কেতকী পাতার তরনীতে আমায় ভাসায়
খয়েরী আঁধার আবছা ভোরে।
আজ খুঁজি তার মাঝে মৌরি ফুলের হলুদ বিকেল!
সদ্য ভেজা মাঠে সবুজ ঘাসে প্রজাপতির নিঃশ্বাস;
আর সাজের আড়ালে মিষ্টি কমলা আকাশ!