প্রতিদিন তিনি শব্দহীন কিছু চিঠির বুনন পুঁতে দেন আমার ভেতর। আজকাল সময় আর শেকড়ের মাঝে এক অদৃশ্য দেয়াল সাঁটা, তবুও তাঁর অস্তিত্বের স্বাক্ষর  বিব্রতকর দেয়ালের শ্যাওলা মুছে আমাকে মনে করিয়ে দেয় সম্পর্কের বীজমন্ত্র।

আমি  ছুটে চলি খুঁজে পেতে করতলে প্রার্থনার জল। সমস্ত শরীর জুড়ে পাই মৃত্তিকার সিক্ততা আর শান্ত অনুভব। সময়ের ক্ষুদ্রাংশ যদি অলিখিত সময়ের অভিধানে ভুল অনুবাদে মুদ্রিত হয়, তিনি তাতে গুঁজে দেন তুলসিপাতার কিছু অঙ্কুর।
  
সময়ের কূটচাল কিংবা দৃশ্য-অদৃশ্যমান আহতরাতের পাশে প্রতিদিন তিনি ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকেন জ্যোতির্ময় নক্ষত্র হয়ে। আমার যুগল ভ্রু যখন প্রশ্নবিদ্ধ দৈনন্দিন রচনা খতিয়ানে, তিনি তখন মলিন চিবুকে স্পর্শ দেন শুকতারা হয়ে ।
  
আমি তাই নতুনত্বের পোশাকি আবহ ছেড়ে ছুটে চলি শেকড়ের সন্ধানে।