সদ্য বিধবা পূরবীর সাদা শাড়ীর আড়ালে ছিলো
ছোপ ছোপ রক্তের দাগ,কারো চোখে পড়েনি
যেমন খড়কুটো সরালে বড় অনাদরে মাটির বুকে জেগে থাকে
আঁকড়ে থাকা কিছু নামহীন চাপা অভিমান
পড়ে থাকে শ্বাসহীন কিছু প্রত্যশা।
যদিও পাল্টেছে সময়ের বাঁক
চকচকে বালিতে ঢাকা পড়ে গেছে চোখের বেগুনী রশ্মি
তবু একবার নদীর আক্রোশে ভেঙে যাওয়া ভিটেমাটি
আসেনা ফিরে অতীতাশ্রয়ী নিজস্ব আঙিনায়
যেখানে কেবল থেকে যায় ক্রমাগত ঘাসের আর্তনাদ।
প্রতিদিনের মতো চলে ঝাঁক ঝাঁক মাছরাঙা
স্ফটিক জলের স্পর্শ মেখে ফোটে কত ভাঁটফুল
ক্ষয়িষ্ণু নদীতটে মরীচিকার দামে অপেক্ষায় রয়ে যায়
কিছু নির্বাক উপোসী ঠোঁট, টলমল চোখ,কিছু ফিকে অনুভূতি
বন্ধ্যা প্রহরের দিকে যাত্রা করে অচেনা স্বপ্নের লাশ।