বৃষ্টি তো চাইনি, চেয়েছিলাম একটুকরো শিরশিরে বাতাস
যেখানে দুলবে শাড়ির সোনালী আঁচল, খসে যাবে মখমলে সুতার আঁশ
ঘাসের আঙ্গিনা জুড়ে পাতাগুলো নূপুর পায়ে
চঞ্চল হয়ে উড়ে যাবে আমার চারদিকে।
বৃষ্টিতে ভেজা দুর্বোধ্য জল আমি চাইনি যা ভাসায় চোখের কাজল
চেয়েছি বাতাসে দোলাক রেশমি খোঁপা, কেঁপে কেঁপে উঠুক নিরালা দুপুর
আঙ্গিনা জুড়ে বেলী ফুলের মৌ মৌ গন্ধে ঘাসে এসে ভিড় করুক
প্রজাপতির উষ্ণতায় রঙিন কিছু রঙ।
ওই নিদারুণ বৃষ্টির ছলে আজ ভাসাতে চাইনি চোখের লবনাক্ত জল
নিভাঁজ শাড়ির আঁচল উড়ে উড়ে যাক এই ভবঘুরে সোনার আলোয়
প্রাঙ্গণে আসুক বসন্ত এলোমেলো করে দিক
নিত্যকার ঘোমটা পরা অভিমান।
বৃষ্টির জলে হারিয়েছি কবে আমার কাগজের নৌকা, হারালাম হাতের পুতুল
আজ অকারনে হাসিতে লুটুপুটু লাল চুড়ির ঝনঝনানি আমার সরব শৈশব
এবার আসুক বটবৃক্ষে জড়ানো স্বর্ণলতার শরীর জুড়ে
হলুদ কথক নৃত্য, তৃষ্ণার্ত আলোর রেখা।
আজ আর দীর্ঘশ্বাস নয়, বুকের গাঁথুনি হোক সোনা রোদে টলমল
আজ আর বইয়ের চাপে পরা মৃত গোলাপ নয়, কোন স্মৃতি কথা নয়
বিষাদের ছায়া নয়, আজ হোক রচিত
উর্বর পলিতে ভরা গোছানো ঘর বাড়ি আর সবুজ শস্যে ভরা চাতাল।