জীবনের রূপ-রস-গন্ধ বুকে ধুলোমাখা পথ;
ছেয়ে যায় বয়েসী পাতায়!
পথের বাঁকে দুরন্ত শৈশব ঘিরে থাকে অজানা স্বপ্নছায়ে;
যৌবন কিংবা বার্ধক্যের জলছাপ ছুঁয়ে।
কতো কবিতা কাব্যহীন হয়,ঝরে যায় সংজ্ঞাহীন পাতার সংসারে!
পথ চলে ঠিকানাহীন গন্তব্যে, কখনও বাদামী বটবৃক্ষের নীড় ঘেঁষে
কখনও পদ্মপুকুরে নুয়ে পড়া ডালের ছায়ার আচ্ছাদনে, কখনও
কৈশোরে গড়িয়ে যাওয়া শিশুর ঘুঙরের শব্দের ঝংকারে!
কতো খেয়ালী মন ঘিরে থাকে সময়ের মায়াবী জোছনা ছুঁয়ে;
ধুলোতে গড়ায় দিগন্তপাড়ের সাজানো-গোছানো
সব অস্তিত্বের আহ্বান।
অতঃপর; পথ চলে নতুন গল্পের খোঁজে;
দৃশ্যের ভেতর সারি সারি দুর্বোধ্য অস্তিত্তের অদৃশ্য আঙ্গিনাজুড়ে
অলীক ভাবনা চোখে ঢেউয়ের তীব্রতায় ছুটে চলে
ক্রমাগত পাল্টাতে কালের দৃশ্যপট!
ডাক দিয়ে যায়; ওহে মহাকালের অভিযাত্রী!
যে পথ দিয়ে গেছ তোমরা হেঁটে পরম মমতায়,
সে পথে আর পারবে না ফিরতে, তার ধুলোর বুকে এখন কেবল
তোমরা স্মৃতি, সময়ের এক অদৃশ্য ছোঁয়া, আমার ধমনীতে
তোমাদের চলে অনবরত হাঁটাচলা, আমার সমস্ত শরীর জুড়ে
তোমাদের জন্ম, মৃত্যু আর মহা-প্রস্থানের
অনুষঙ্গ টুকিটাকি ভাঙ্গনের শব্দ।